জহিরর রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আনন্দধাম নার্সিংহোমে সিজারিয়ান অপারেশনের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় ওই নবাজাতক। নার্সিংহোমে অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স না থাকায় শিশুটি মারা গেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোদুয়া গ্রামের শাহাজান শাহার মেয়ে সুমি খাতুনের (২০) প্রসব বেদনা শুরু হলে গত ৬ সেপ্টেম্বর তাকে আলমডাঙ্গার আনন্দধাম নার্সিহোমে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সুমি। অপারেশন করেন ক্লিনিক মালিক শরিফুল ইসলামের ছেলে প্রাইভেট মেডিকেল থেকে পাস করে আসা ডা. মোহাম্মদ শাওন ও এনামুল নামের এক সহকারী। এ্যানেথেসিয়া দেন কুষ্টিয়া জেলারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আব্দুস সালাম।
সুমি খাতুনের বাবা শাহাজান শাহা বলেন, সিজারিয়ানের পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চিকিৎসায় কোন উদ্যোগ নেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পর দিন ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিজ উদ্যোগে আমরা জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হাবিবুর রহমানের কাছে নিয়ে যায়। তিনি শিশুটি দেখার পর একটি ব্যবস্থাপত্র করে দেন। কিন্তু ক্লিনিক মালিকের ছেলে ডা. শাওন ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ না দিয়ে তা পাল্টিয়ে দেন। এতেই শিশুটি নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয় পরিবারের লোকজন শাওনের সাথে কথা বলতে গেলেও খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। একপর্যায়ে মৃত নবজাতকে আটকে আদায় করে নেন ক্লিনিকের যাবতীয় বিল।
আনন্দধাম নার্সিহোমের চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন জানান, শিশুটিকে সঠিকভাবেই পরিচর্যা বা সেবা দেয়া হচ্ছিল। এতে আমাদের কোন ত্রুটি ছিল না। সুমির পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, ওই ঘটনায় এখনও কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি