দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক,খোকসা/
পৌনে দুই বছর পর খোকসা উপজেলা ও পৌরসভাসহ সব ক’টি ইউনিয়ন আওয়মী লীগের পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা হতে যাচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে খোকসাসহ জেলার সবকটি উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনার তাগিদ রয়েছে দলের উচ্চ পর্যায়ের। আর তারই আলোকে সোমবার সকাল ১১ টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সমন্বয়ের ডাকা সভা চলছে।
গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর স্থানীয় হাই স্কুল মাঠে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চদখল কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের দলীয় অফিস ভাংচুর করা হয়। অবশেষে কেন্দ্রিয় নেতাদের হস্তক্ষেপের পর সম্মেলন অনুষ্ঠত হয়। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের চাপের মুখে বাবুল আখতারকে সভাপতি ও প্রভাষক তারিকুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করে কমিটির প্রধান ৬টি পদের বিপরিতে মনোনিতদের নাম ঘোষনা করা হয়। কিন্তু প্রায় পৌনে দুই বছরেও ১০১ সদস্যের উপজেলা কমিটির বাঁকী পদ গুলো সহ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের কমিটি আর ঘোষনা করা হয়নি।
সোমবার উপজেলা ও সব গুলো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা হতে পারে এমন খবর ছড়িয়ে পরেছে। এর পর থেকে উপজেলা সদরের চায়ের দোকান গুলো থেকে শুরু করে সর্বত্রই কমিটি নিয়ে নতুন সমীকরণ শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নেতৃত্বে বিবাদের ফলে দীর্ঘ দিন দলীয় কর্মকান্ড ঝিমিয়ে পরেছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন কমিটি করা হলে কর্মীদের মধ্যে কিছুটা গতি ফিরবে।
২৫ নভেম্বরের ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আল মাছুম মোর্শেদ শান্ত জানান, আংশিক ঘোষনার পর বন্ধ থাকা কমিটি গুলো পূনাঙ্গ করার জন্য দলের উচ্চ পর্যায় থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার আলোকেই জেলা কমিটি পক্ষ থেকে উপজেলার সভাপতি সম্পাদককে ডেকেছেন। এদিন উপজেলা ও ইউনিয়ন গুলোর পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা হতে পারে বলে তিনি আশা করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক তারিকুল ইসলাম জানান, তারা নিজেরা সমন্বয়ের চেষ্টা করবেন। তবে এদিন কমিটি ঘোষনা হবে কী না তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তিনি জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যে উপজেলা পৌরসভা ও ইউনিয়ন গুলোর পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হতে পারে। এ সমন্বয় বৈঠকে নিজেরা সমাধানে ব্যর্থ হলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ খোকসা-কুমারখালী আসনের দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ সহায়তা করেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার জানান, প্রথমে তারা নিজেরা সমন্বয়ের চেষ্টা করবে। দুই একটি পদের ক্ষেত্রে মতপার্থক্য দেখা দিলে জেলা সভাপিত-সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেটি সমন্বয় করবেন।
সোমবার পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা না হলেও দুই এক দিনের মধ্যে উপজেলা ও পৌরসভাসহ সব গুলো ইউনিয়নের কমিটি ঘোষনা হতে পারে বলে তিনি আশা করছেন।
Leave a Reply