December 22, 2024, 3:34 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় একটি মসজিদে মানতের মাংস ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম কবির খান (৩৫)। তিনি ঐ মসজিদপাড়া এলাকার মৃত মান্নান খানের ছেলে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান গত বেশ কিছুদিন ধরে মসজিদের মানতের মাংস ভাগাভাগিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এদের এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন আসাদ চৌধুরী। অন্য পক্ষে রয়েছেন তারই চাচাতো ভাই মুরাদ চৌধুরী।
শনিবার মসজিদে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এলাকা থেকে কয়েকজন আসেন। তারা মানত হিসেবে মসজিদে একটি খাসি প্রদান করেন। সেই খাসির মাংস ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে আসাদ চৌধুরী ও মুরাদ চৌধুরী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই কবির খান নামে ঐ যুবক নিহন হন। তিনি আসাদ চৌধুরীর অনুসারী।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান তদন্ত চলছে। একটি মামলা হবে।
মসজিদটি দেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বর্তমান মসজিদটির দ্বারপ্রান্তে এটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় তৈরি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৬৯ সালে এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাতে নথিভুক্ত করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চুক্তি অনুযায়ী এটি ঝাউদিয়া গ্রামের জনৈক হাসান আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যগণ তত্ত্বাবধান করে আসছেন।
প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এ মসজিদে বহু মানুষ আসে। তাদের মধ্যে অনেকেই এখানে নানা ধরনের জিনিস উৎসর্গ করেন থাকেন।
ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাস বলেন, মানতের মাংস ভাগাভাগি নিয়ে আগেও বহুবার সংঘর্ষ ঘটেছে। ওখানে দুটি চক্র মাথাচাড়া দিয়েছে।
এ বিষয়ে আসাদ চেীধুরী দাবি করেন তার পিতা এটা দেখাশোনা করার দায়িত্ব পান ষাটের দশকে। তার সন্তান হিসেবে আমরাই এটি দেখাশোনা করি। মাঝখানে আমার বাবার চাচাতো ভাইয়ের সন্তানেরা গোলযোগ সৃষ্টি করেন।
Leave a Reply