দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সীমান্ত সংলগ্ন বিলগাথুয়া গ্রামে নিজে বাড়িতে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত আবুবকর সিদ্দিকী ঘটনার ছয় দিন পর মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বোমা বিস্ফোরণে আহত আবু বকরের স্ত্রী মধুবালাকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহত আবু বকর বিলগাথুয়া গ্রামের ইন্তাজ মন্ডলের ছেলে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান ১৯ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে আবু বকর বাসায় বোমা তৈরি করছিলেন। বকরের স্ত্রীও সেখানে ছিলেন। সে সময় হঠাৎ করে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিষ্ফোরণে ওই ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। এতে আবুবকর ও তার স্ত্রী মধুবালা আহত হন। বিস্ফোরণে বকরের দুই পা ও দুই হাতের মাংস উড়ে যায় এবং তার স্ত্রী মধুবালার বাম হাত ও ডান পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আহত অবস্থা নিয়েই মধুবালা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
গুরুতর আহত বকরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবু বকরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ওসি জানান আবু বকর সীমান্তে চোরকারবারীতে নিয়োজিত এমন একটি দলের সদস্য। তাদরেকে বোমা বানিয়ে সরবরাহ করতেন তিনি।
ঘটনার পর পুলিশ আবুবকর ও তার স্ত্রী মধুবালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই চক্রের সন্ধান পায়। এরপর তখনই অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন, একই গ্রামের ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবুল কালাম (৪৫), আমিরুল মাস্টারের ছেলে বিকু (৪০) ও তাহের আলীর ছেলে রায়হান (২২)।
এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আবু বকর ও তার স্ত্রী মধুবালাকে আসামি করা হয়।
ওসি নাসির উদ্দিন জানান মধুবালা এখন পলাতক এবং বেঁচে আছেন। মামলার অন্য আসামিরাও পলাতক।
ওসি জানান আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি