দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
হালের আলোচিত ঘটনাবলীর অন্যতম হলো বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হেফাজত থেকে মদসহ মাদকদ্রব্য ও মদবিহীন খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে মদের খালি বোতল রাখাও কী অবৈধ? এ বিষয়ে আইনজীবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, মদের খালি বোতল হেফাজতে রাখা অবৈধ নয়।
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির বাসাতে অভিযান চালিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিদেশি মদ ও মদের খালি বোতলসহ অন্যান্য মাদক উদ্ধার করে। এর আগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, হেলেনা জাহাঙ্গির, ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌসহ আরও ক’জনের বাসায় অভিযান চালিয়েও বিদেশি মদসহ মাদক উদ্ধার করা হয়।
মদের খালি বোতল কারও হেফাজতে থাকলে সেটা অপরাধ কিনা? অপরাধ না হলে সেগুলো কেন উদ্ধার তালিকায় দেখানো হয়- জানতে চাইলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন মিডিয়াকে জানান, ‘মদের খালি বোতল রাখা অবৈধ নয়। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মদের খালি বোতল মানে দুটো বিষয়। একটা হচ্ছে আপনি পানি খাওয়ার জন্য রেখেছেন। আরেকটা হচ্ছে মদ খেয়ে সেটা খালি করে রেখেছেন। ১৩০টি বোতলে তো আর আপনি পানি খাবেন না। এটা মদ খেয়েই রাখা সম্ভব। আর পরীমণির বাসায় ১৯ বোতল অরিজিনাল মদ ছিল। সেটার পাশাপাশি খালি থাকলে সেগুলোও নিয়ে আসতে হয়। মামলাটা হয়েছে কিন্তু মদ থাকা ১৯টি বোতলের জন্যই। খালি বোতলের জন্য মামলা হয়নি।’
একই বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম মিডিয়াকে বলেন, ‘মদের খালি বোতল রাখা অপরাধ হবে না। মূল কথা হচ্ছে, শুধু খালি বোতল উদ্ধারের কারণে কাউকে দোষী সাব্যস্তও করা যাবে না। মদ খেয়ে খালি করে রাখলেও সমস্যা নেই। উদ্ধারে দেখাতে হবে মদ আছে। মদের পাত্র নয়। মদের পাত্র কোনও অপরাধের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আইনে বলা হয়েছে মদ পেতে হবে। সেটা বোতলে হোক আর টিনের পাত্রে।’
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি