দৈনিক কুষ্টিয়া অনলইন/
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি না থাকলেও মানুষের জীবিকার প্রশ্ন আর অর্থনীতির চাকা সচল রাখাকে প্রাধান্য দিয়ে আজ ১১ আগস্ট উঠছে লকডাউন। তবে ভরসা করা হচ্ছে মানুষের সচেতনতার উপর। মানুষকেই মোকাবেলা করতে হবে এই মহামারি ; লড়াই করেই বেঁচে থাকতে হবে।
সরকার মনে করছে অর্থনীতির কর্মকান্ড সচল রাখার তাগিদ রয়েছে সরকারের ওপর। তবে মানুষও আর মানতে চাইছে না বিধিনিষেধ। জীবিকা আর জীবনের প্রবল সংকট-প্রবণ কিছু মানুষের পক্ষে অব্যাহত লকডাউন মেনে নেয়াটাও দিনে দিনে অসম্ভব হয়ে উঠছিল। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই সরকারের এই কৌশলের সঙ্গে একমত না হলেও কেউ কেউ বলছেন বাংলাদেশের মতো সামাজিক বাস্তবতায় বেশিদিন লকডাউন রাখা সম্ভব নয়।
প্রায় সবই খুলে যাচ্ছে/
মোটামুটি সবকিছু খুলছে। ৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আটটি শর্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ সময় আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন।
তবে আগের বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।
>> সকল সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে।
>> বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। (ইতোমধ্যে জারি করেছে)।
>> সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/ সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
>> শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।
>> সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।
>> খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
>> সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
>> গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কি করণীয়/
স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ক্ষেত্রে সফল হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন করোনায় মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে না। করোনা নিয়েও মানুষ বেঁচে থাকবে। তাই করোনা নিয়ে কীভাবে বেঁচে থাকা যায় সেটা হলো কথা! মূল কৌশল হলো সকল মানুষকে নিয়ম মেনে চালানো। তারা বলছেন সাবসটেন্সিয়াল লকডাউনে ইফেক্ট পাওয়া যেতে পারে। তা হলো- মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা। মাস্ক না পরে বাইরে এলেই শাস্তি পেতে হবে। এছাড়া যাদের মাস্ক নেই, সরকার তাদের মাস্ক সরবরাহ করবে। এটা বাস্তবায়ন করলে বড় সুফল পাওয়া যাবে। লোকজন যেখানে দিন আনে দিন খায়, সেখানে তো দীর্ঘমেয়াদে লকডাউন দেয়া সম্ভব নয়।
গত ৩ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় মাস্ক না পরলে শাস্তির বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি