স্পোর্টস ডেস্ক/
সিরিজ শুরুর আগে সবাই ভেবেছিল বড় ব্যবধানে জিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। অথচ বাঘের ডেরায় এসে ক্যাঙ্গারুরা যে এভাবে নাস্তানাবুদ হবে তা হয়তো তারা নিজেরাও ভাবতে পারেনি। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার লজ্জা পেয়েছে অজিরা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে ৬০ রানের বড় জয়ের পাশাপাশি ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ছিল ৭৯ রান। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন লজ্জায় পড়েছিল তারা। এছাড়া ওভারের দিক থেকেই এটা দলটির সংক্ষিপ্ততম ইনিংস। সবমিলিয়ে মাত্র পঞ্চমবার একশ রানের নিচে অল আউট হলো সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বল হাতে প্রথম আঘাত হানেন নাসুম
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রান তাড়া করতে নামেন ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান ও ম্যাথু ওয়েড। নাসুম আহমেদের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হন ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এদিন ফেরেন মাত্র ৩ রানে।
সিরিজে অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা মার্শকেও অল্পেই ফেরান নাসুম। ম্যাকডারমটকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ম্যাথু ওয়েড। কিন্তু অজি অধিনায়ককে ২২ রানের বেশি করতে দেননি সাকিব।
নিজের প্রথম ওভারেই ১৭ রান করা ম্যাকডারমটকে ফেরান রিয়াদ। এরপর মাত্র ৬ বলের মাঝে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অজিরা। একই ওভারে অ্যালেক্স ক্যারি ও ময়জেস হেনরিকসকে আউট করেন সাইফউদ্দিন। এরপর টার্নারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। এর মাধ্যমে দেশের হয়ে টি-২০তে একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার শেষ তিন ব্যাটসম্যানের কেউই ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। শেষ ২০ বলে ছয় উইকেট হারায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ১৩.৪ ওভারেই অল আউট হয়ে যায় অজিরা। বাংলাদেশের পক্ষে একাই ৪ উইকেট নেন সাকিব। এছাড়া সাইফউদ্দিন ৩টি ও নাসুম দুটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মাহেদী হাসান ও মোহাম্মদ নাইম। ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনার সাফল্য হাতেনাতে পায় বাংলাদেশ।
মাহেদী ও নাইমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় টাইগাররা। প্রথম তিন ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৩৩ রান সংগ্রহ করেন দুই ওপেনার। অস্ট্রেলিয়া প্রথম সাফল্যের দেখা পায় পঞ্চম ওভারে। অ্যাস্টন টার্নারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অ্যাস্টন অ্যাগারের তালুবন্দী হন ১৩ রান করা মাহেদী।
এরপর বাজে শট খেলে অ্যাগারের দ্বিতীয় ক্যাচে পরিণত হন নাইম। ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের করা স্লোয়ার বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হন এই ওপেনার। এর আগে তিনি ২৩ বলে করেন ২৩ রান। পরের ওভারে অ্যাডাম জাম্পার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডার ২০ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ২৪ রানের ছোট জুটি গড়েন রিয়াদ ও সৌম্য। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজনই আউট হয়ে যান। অ্যাগারের বলে আউট হওয়ার আগে রিয়াদ করেন ১৯ রান। অন্যদিকে ১৬ রান করা সৌম্যকে ফেরান ক্রিস্টিয়ান। সোহান এ ম্যাচে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি।
শেষ দিকে আফিফ ১০ রান করেন। রানের খাতা খোলার আগেই রান আউট হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান ও নাথান এলিস। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন আগার ও অ্যাডাম জাম্পা।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি