October 30, 2024, 8:03 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ২৪ জনের মধ্যে ১০ জনই কুষ্টিয়ায়।
এর আগের ২৪ ঘন্টায় বিভাগে ৩৯ জনের হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন—এই তিন প্রক্রিয়ায় মোট ৪ হাজার ৪৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৯১১ জনের। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪০। আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১ হাজার ৭২২টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৩০।
একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৯৩ জন।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় মৃত ১০ জনের বাইরে যশোরে ৫ জন, খুলনায় ৩ জন, বাগেরহাট ও ঝিনাইদহে ২ জন করে; সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মারা গেছেন।
বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৮১। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৬৭।
বিভাগের মধ্যে খুলনায় করোনায় সর্বোচ্চ ৬৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু কুষ্টিয়ায়, ৬৪০ জনের। এ ছাড়া যশোরে ৪০১, ঝিনাইদহে ২২৮, চুয়াডাঙ্গায় ১৭৮, মেহেরপুরে ১৫৯, বাগেরহাটে ১৩৩, নড়াইলে ৯৮, সাতক্ষীরায় ৮৬ ও মাগুরায় ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন করে করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ খুলনায় ১৯৬ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১৫৩, যশোরে ১৪৩, কুষ্টিয়ায় ১৪১, ঝিনাইদহে ৮৮, সাতক্ষীরায় ৬৩, চুয়াডাঙ্গায় ৪৭, মেহেরপুরে ৩৭ জন, মাগুরায় ২৯ ও নড়াইলে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২ হাজার ৬৮১ জন। মোট শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪০৫ জন। সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এখানে ২৫ হাজার ১০৬ জনের করোনা হয়েছে। যশোরে ১৯ হাজার ৮৭৬ জনের, কুষ্টিয়ায় ১৫ হাজার ৯৪৮ জনের, ঝিনাইদহে ৮ হাজার ২৪৩ জনের, বাগেরহাটে ৬ হাজার ৫৪৮ জনের, চুয়াডাঙ্গায় ৬ হাজার ৩৬১ জনের, সাতক্ষীরায় ৬ হাজার ১২৮ জনের, নড়াইলে ৪ হাজার ৪১০ জনের, মেহেরপুরে ৪ হাজার ২৫৯ জনের এবং মাগুরায় ৩ হাজার ৫২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৯ হাজার ৫৫২ জন।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায়।
Leave a Reply