October 30, 2024, 8:01 pm
জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা,
ষাটোর্ধ আমেনা বেগম। আজ শনিবার সকালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে এসেছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডস্থ রিজিয়া খাতুন প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
টিকা নেয়ার পর আমেনা বেগম জানান, ‘সকালে টিকা নিতি এসি দেকি লম্বা লাইন। আমি পেচনে দাঁড়িয়ি ছিলাম। ভাবলাম ককুন যে টিকা দিতি পারবু। কিন্তু যারা টিকা দিচি তারা এসি আমাকে আগে নিয়ি গেল। টিকা দিলু। ‘লোকের মুকে শুনতাম টিকা দিলি মরি যাবা। টিকা দিলি অনেক লাগবি। কিন্তু টিকা নিয়ি আমার কুনু ভয় লাগিনি।
তিনি আরও জানান, ‘ শেখ হাসিনা আমাদের মতো গরীপ মানুষকে কুনু টাকা ছাড়াই টিকা দিচি। মা শেখ হাসিনা বেচি থাক হাজার বচর। ‘
এদিকে, সারাদেশের মতো চুয়াডাঙ্গাতেও শুরু হয়েছে গণ টিকাদান কার্যক্রম। আজ শনিবার সকাল ১০ টায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের রিজিয়া খাতুন প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণটিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এসময় তিনি বলেন, গণটিকাদান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। আমাদের দেশে প্রথম দিকে টিকার সঙ্কট থাকলেও সরকারের প্রচেষ্টায় বাইরের দেশ থেকে টিকা কিনে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে তা দেয়া হচ্ছে। আগামীতে শতভাগ মানুষের টিকা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এতে করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে আসবে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, আজ জেলার চারটি পৌরসভা ও ৩৫টি ইউনিয়নের ৫৩ টি কেন্দ্রে মোট ১১৯টি বুথে ২৩ হাজার ৮০০ জনকে গণ টিকা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে ২০০ জনকে টিকা প্রদান করা হয়। এসব কেন্দ্রগুলোতে ২৫০ জন টিকাদানকর্মী ও ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। টিকাদান কর্মসূচি সকাল সাড়ে ৯ টায় শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত। চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে টিকাদান কর্মসূচি তদারকি করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যারা সুরক্ষা অ্যাপসে নিবন্ধন করেননি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের একটি টিকার কার্ড দেয়া হচ্ছে। এতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার তারিখও লিখে দেয়া হচ্ছে। টিকাদান কেন্দ্রে বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রথমে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরামসহ সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply