দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এক নবজাতকের ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে হাতের আঙুল কেটে ফেলে দিয়েছেন এক নার্স।
ঘটনা ঘটেছে শহরের ছয় রাস্তা মোড় এলাকায় অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালের কুষ্টিয়া ইউনিটে আজ (শুক্রবার) ভোর ৬টার ।
শিশুটির বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায়। তিনি রেলওয়েতে চাকরি করেন।
রফিকুল জানান মঙ্গলবার তিনি তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিতুকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করান। ঐ দিন রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রিতু। তবে জন্মের পর শিশুটি অসুস্থ ছিল। এজন্য চিকিৎসা দেওয়ার জন্য শিশুটির ডান হাতে ক্যানোলা লাগানো হয়। ক্যানোলা ব্যান্ডেজ দিয়ে আটকানো ছিল।
শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে হাসপাতালে নার্স মমতাজ পারভীন শিশুটির হাত থেকে ক্যানোলা খুলতে যান। এ সময় ব্যান্ডেজ কাটতে গিয়ে শিশুটির একটি আঙুল কেটে ফেলেন তিনি।
্এ সময় শিশুটির অব্যাহত কান্না থামাতে ঐ নার্স কেটে ফেলা আঙুলসহ দ্রæত ব্যান্ডেজ করে ঢেকে দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতে থাকেন।
রফিকুল জানান প্রথমদিকে তাদেরকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ আশ^াস দেন যে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার এসে শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এটি শুধু আশ^াসই থাকে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও কতৃপক্ষ হেলিকপ্টার আনতে ব্যর্থ হয়।
এক পর্যায়ে বিকেলে দিকেলে দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম জানান হাসপাতাল থেকে বাচ্চাটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আজ। তিনি অভিযোগ করেন কতৃপক্ষ নানা টালবাহানা করে সারাদিন তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন আদ-দ্বীন হাসপাতালের কুষ্টিয়ার ম্যানেজার রবিউল আওয়াল। তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অসাবধানতাবশত ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি বলেন শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসার ব্যয়ভার আদ-দ্বীন হাসপাতাল কতৃপক্ষ বহন করবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি