October 30, 2024, 8:02 pm
জাহিদুজ্জামান/
মহাজনের কাছ থেকে পাওনা টাকা তুলতে না পেরে অর্থ সংকটে পড়েছেন কুষ্টিয়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা। তারা ঢাকায় ট্যানারি মালিকদের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন। টাকা না পেলে দেশের অন্যতম এ মোকাম এবারও ঝিমিয়ে পড়বে। কোরবানীর চামড়া কেনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অর্থ সংকটের কারণে এ মোকামে রয়েছে শ্রমিক সংকটও।
এ ব্যাপারে সোমবার ১০ টায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীদের নেতারা। জেলা প্রশাসক বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী মোজাম্মেল হক বলেন, মহাজনদের কাছে অনেক টাকা পাওনা রয়েছে। এই টাকা না পেলে চামড়া কিনতে পারবেন না। অনেক দিন বেচাকেনা নেই ভাল নেই। সরকারের কোন সহায়তা চান না তিনি। ট্যানারি মালিকদের কাছে যে টাকা পাওনা রয়েছে তা পেলে ব্যবসা করতে পারতেন। সে ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে বলেন বর্ষীয়ান এই ব্যবসায়ী। তবে, করোনা মহামারীর কারণে গতবারের তুলনায় এবার কম কোরবানী হবে বলে ধরে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মানুষ বাড়ির ওপর যাবে, করোনা ছড়াতে পারে। এছাড়াও আর্থিক সংকট রয়েছে।
এ কারণে কোরবানীই কম হবে বলছেন চামড়া ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ। ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘদিন মাল দিই ট্যানারিতে। সেখানে জমতে থাকে বকেয়া। এখন এই বকেয়া তুলতে না পেরে অনেকেই চামড়ার দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। আমার ঠিকমতো টাকা না দিতে পারায় অনেক শ্রমিক চলে গেছে। এই খাতের শ্রমিক নির্ধারিত। শ্রমিক না পেলে চামড়া কিনেই কী করবো? তবে, লবণের কোন সংকট নেই। তবে, টাকা চলে আসলে আবার চাঙ্গা হয়ে যাবে। কেনা-বেচা চলবে পুরোদমে বলেন ব্যবসায়ীরা। অনেকেই ট্যানারি মালিকদের কাছে গিয়ে বসে আছেন। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোন ভাল খবর পাননি কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীরা। তাদের আশংকা এবারও চামড়া কিনতে পারবেন না অনেকেই। আ তা হলে গতবারের মতো চামড়া রাস্তায় পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা না কিনতে পারলে চামড়া সীমান্ত দিয়ে পাচার হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া পাচার করা সম্ভব নয় বলেছেন ব্যবসায়ীরা। কারন, মানুষ এক-দুই পিস চামড়া নিয়ে তো আর সীমান্তে যাবে না। যেতে হলে গাড়ীতে করে নেবে। প্রশাসন কঠোর থাকলে পাচারকারীরা চামড়া নিয়ে যেতে পারবে না। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেছেন, কেউ একটি চামড়াও সীমান্তে নিয়ে যেতে পারবে না। এ ব্যাপারে পুলিশ আগে থেকেই সজাগ আছে
Leave a Reply