দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সকলে রেকর্ড ভেঙে সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় সময়ে সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৫৬ জনের।
বিভাগের ১০ জেলায় এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যান ৫১ জন। একই সময়ে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৭৩২ জন।
শুক্রবার (০৯ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা জেলায়, কুষ্টিয়ায় ১৪ জন, যশোরে ৯ জন, ঝিনাইদহে ১০ জন, চুয়াডাঙ্গায় ছয়জন, মেহেরপুরে পাঁচজন, বাগেরহাটে দুজন, নড়াইল ও মাগুরায় একজন করে মারা গেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের খুলনা জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯৬ জনের। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় শনাক্ত হয়েছিল ৩৩৮ জনের। তার আগের শনাক্ত হয়েছিল ৫৮৫ জনের। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৩৪৯ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ১৯৪ জনের। মারা গেছেন ৩৯২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ জন।
বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩৫ জনের। এর আগের ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১৩৫ জনের। এর আগের ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে শনাক্ত হয়েছিল ১১৮ জনের। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে শনাক্ত হয়েছিল ১২৭ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৪০৯ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৭ জন।
সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৩৬ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৮৬ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১১১ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১১৩ জন। জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৯৬৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩৮৮ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় যশোরে শনাক্ত হয়েছিল ৩৫২ জন। তার আগের ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৩৭৩ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় যশোরে শনাক্ত হয়েছিল ২৭৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৯১৩ জন। মোট মারা গেছেন ২০২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৬১ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় নড়াইলে শনাক্ত হয়েছিল ২৬ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় নড়াইলে শনাক্ত হয়েছিল ৫১ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৭৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩১১ জনের। মোট মারা গেছেন ৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩২৬ জন।
মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। মাগুরায় এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৪৭ জন। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ জনের। মোট মারা গেছেন ৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ জন।
ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৬২ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১৪৪ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১৫৬ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ২৩০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৪৮২ জন। মোট মারা গেছেন ১২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২২০ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়ায় শনাক্ত হয়েছিল ২৩২ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছিল ২৩৪ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় শনাক্ত হয়েছিল ৪৩১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৮৮৩ জনের। মোট মারা গেছেন ৩১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৭ জন।
চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৩৩ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১৯১ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১৩০ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ১৪০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৩৯৯ জন। মোট মারা গেছেন ১১৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৯২ জন।
মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৬৮ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় মেহেরপুরে শনাক্ত হয়েছিল ৯৩ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় জেলায় শনাক্ত হয়েছিল ৫৯ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৭৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৩১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৪ জন।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক রোগতত্ব) ফেরদৌসী আক্তার জানান গত বছরের ১৯ মার্চ খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে করোনায় মারা গেছেন এক হাজার ৩০১ জন।
অন্যদিকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ১৮৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৮৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন।
যোগাযোগ করা হলে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান বিভাগের ১০ জেলাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনা সিটির মধ্যে বড় বেসরকারী হাসপাতাল চিকিৎসা সেবার জন্য রিকুইজিশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতালের সাথে কথা বলা হয়েছে।
“আশা করছি রোববার থেকেই এটি সম্ভব হবে,” তিনি বলেন।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি