দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক,খোকসা/
সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে ৫০ পরিবার এই শিরোনামে কুষ্টিয়া জেলার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা দৈনিক কুষ্টিয়া ‘য় শনিবার (৩ জুলাই) সংবাদ প্রকাশিত হলে নজরে আসে পৌর মেয়রের। তৎক্ষণাৎ পৌর মেয়র তারিকুল ইললাম সরজমিনে গিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসার পৌরসভার ৪ নম্বর ওর্য়াডের মাষ্টারপাড়ার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতার নিরসনে ব্যবস্থা নেন।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মাষ্টারপাড়ায় তৎক্ষণাৎ সরজমিনে গিয়ে অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় তাৎক্ষণিক পাইপের মধ্যে অস্থায়ীভাবে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেন পৌর মেয়র তারিকুল ইললাম।
পৌর মেয়র তারিকুল ইসলাম জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তাৎক্ষণিক পাইপের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের অস্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেন। তবে এই বর্ষা মৌসুমের পর অতি দ্রুত এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, পৌরবাসীর কল্যাণে যতটা সম্ভব প্রতিটা মুহূর্তে আমি প্রস্তুত থাকবো।
গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার টানা বৃষ্টিতে আবারও একই দুর্ভোগে পড়েছেন ঐ এলাকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে কঠোর বিধি-নিষেধে ঘরবন্দী লোকজনের দুর্ভোগ চরমে উঠে।
শুক্রবার (২ জুলাই) পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাস্টার পাড়া সরজমিনে গিয়ে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় পানিতে রাস্তা তলিয়ে গিয়েছে বলে জানান এই এলাকার বাসিন্দারা।
ওই এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা আবার তার উপর নেই ড্রেনের ঢাকনা এতে হরহামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। এমন ঝুঁকি নিয়ে রোজ যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।
পৌর এলাকার মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা সন্তু সাহা জানান, একটু বৃষ্টিতেই পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। পৌর মেয়র এলাকায় এসে জলাবদ্ধতা দেখে গিয়েছেন এবং পানি নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এমনটা জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে খোকসা পৌরসভার মেয়র তারিকুল ইসলাম বলেন, আমি ওই এলাকায় গিয়েছি। আপাতত পাইপের মাধ্যমে পানি বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ওই এলাকার জনগণ অপরিকল্পিতভাবে বালি দিয়ে জায়গা ভরাট করেছে ও অপরিকল্পিত বসতবাড়ি নির্মাণের কারনে পুরনো ড্রেন অকেজো হয়ে পড়েছে। তবে এই বর্ষা মৌসুমের পরে নতুন প্রজেক্টের মাধ্যমে ড্রেন পুনঃস্থাপন করার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে এবং সুফল পাবে।
Leave a Reply