হুমায়ুন কবির, খোকসা/
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়ন এবং ১ টি পৌরসভা এলাকায় মােট ১ হাজার ৬৩০ জন খামারীর মধ্যে চলতি বছরে ৬ হাজার ১৭০ টি ষাড়, ৩১৩ টি গাভি, ৬৫ টি বলদ, ১৮ টি মহিষ, ৮ হাজার ৬২৭ টি ছাগল, ২৫০ টি ভেড়া পালন করেছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার পলাশ চন্দ্র সাহা তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ১ জুন হতে ১৫ জুন পর্যন্ত সম্ভাব্য পশুর সংখ্যা ৪১০ টি ষাড়, ৫৬০ টি ছাগল, ২ টি মহিষ সহ মােট ৬৫৮০ টি ষাড়, ৬৭ টি বলদ, ৩১৩ টি গাভী, ২০ টি মহিষ, ৯ হাজার ১৮৭ টি ছাগল, ২৫০ টি ভেড়া সহ সর্বমােট-১৬৪১৫ টি প্রাণির হৃষ্টপুষ্ট করণের করেছেন স্থানীয় খামারিগণ।
আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে খোকসা উপজেলার কোরবানির চাহিদা পুরন করেও অর্ধেকেরও বেশি পশু আব্দুল উদ্বৃত্ত হবে।
মহামারী করোনাভাইরাস এ অব্যহত লকডাউনের পশুহাট বন্ধ থাকায় খামারিরা বিপাকে পড়ার শংকায় রয়েছে।
তবে তারা আশা করছেন কোরবানি এখনও ২০ দিন বাকি। বেচাবিক্রি শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। তারা জানান অনেকে লোন নিয়ে গরু কিনে মোটাতাজাকরণ করেছেন। অনেকে বিভিন্ন দোকানে গো-কাদ্য বাবদ অনেক বাঁকি করেছেন।
উপজেলার সৌখিন খামারি আল মাছুম মোর্শেদ শান্ত জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনি ৬-৭ টি গরু মোটাতাজা করণ করেছেন।
তিনি জানান গরু পালন করতে যে টাকা ব্যায় করেছেন নির্ধারিত সময়ে বিক্রয় করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের প্রত্যয় ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী প্রীতি মজুমদার জানান, তিনি এনজিও থেকে চড়া সুদে লোন নিয়ে ১০ টি গরু পালন করেছেন।
চলমান লকডাউনে গরুর হাট না লাগায় আশানুরুপ দাম তিনি পাবেন কিনা সন্পাদেহ করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানানো হয়েছে এবছর অসংখ্য বড় মাপের গরু রয়েছে এ উপজেলার খামারিদের কাছে।
উল্লেখ্য প্রতিবছরের নিজেদের চাহিদা পূরণ করে ও ঢাকা-সিলেট এবং ময়মনসিং বিভিন্ন জেলায় পাইকারদের কাছে উপজেলার গরু বেশ প্রসিদ্ধ ও পরিচিতি রয়েছে। আর দেশি গরুর বেশি চাহিদা থাকায় স্থানীয় খামারিরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তাদের খামারে দেশি গরুর বেশি লালন পালন করেছে।