October 30, 2024, 8:03 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত কওে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে আজ (শুক্রবার) জানানো হয়েছে। এখন থেকে এখানে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবদুল মোমেনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান গত শনিবার এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে সিভিল সার্জন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ, জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকবৃন্দ, কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঐ বৈঠক থেকে জেনারেল হাসপাতালের বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবুল উল আলম হানিফের সাথে কথা বলা হয়।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সবাই জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণার পক্ষে মত দেন।
পরদিনই এ মর্মে পত্র প্রেরণ করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, আজ সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের ১৮০ রোগী ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪২ জন করোনা পজিটিভ। বাকি ৩৮ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের দোতলার সব কটি ওয়ার্ডে ২০০ শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। নিচের কয়েকটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। করোনা ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা দেওয়া এ মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না।
কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৪২.০৪ শতাংশ, মৃত্যু ৭/
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ছিল ৪ জন। ২৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১১ করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ০৭ শতাং। এর আগের ২৪ ঘন্টায় ৪৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৩৯ জনের এবং হার ছিল ৩০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল ও একই সময়ে ৩৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ৩৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আজ শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সবাই কুষ্টিয়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ১৫৪ জন। আগের দিন এটি ছিল ১৪৭ জন। তার আগের দিন ১৩৫ জন।
তিনি আরও জানান, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় হোমআইসোলেশনে আছেন ১৩৮৬ জন। এর আগের দিন ছিলেন ১৩৩০ জন। বুধবার ছিলেন ১২৫০ জন। মঙ্গলবার ছিলেন ১১৫৭ জন।
সিভিল সার্জন বলেন এত বিশাল সংখ্যক রোগীকে বাইরে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। হাসপাতালে বেড থাকলে তাদেরকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া যেত।
এ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৯১২ জন এবং মারা গেছেন ১৭৩ জন।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সোমবার ভোর থেকে সমগ্র জেলায় কঠোর লকডাউন চলছে। কুষ্টিয়া শহর থেকে সব উপজেলা ও আশপাশের জেলাগুলোর প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply