হুমায়ুন কবির, খোকসা/
মহামারি করোনা ভাইরাসের এই সময়ে পেশা পরিবর্তন করে অনেক ব্যবসায়ী অন্য অনেক পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। অনেকে আবার সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছেন। তেমনি আশা জাগানি দু’বন্ধুর গল্প জানাব। অশোক হাওলাদার (৪০) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে তার বাড়ি। নিজের সাইকেল করে গ্রামে গ্রামে নতুন ছিট কাপড় বিক্রি করতেন এবং গ্রাম থেকে ( ক্রয়ের মাধ্যমে) সংগ্রহ করতেন পরাতন কাপড়। বাজারে বিক্রি করে যা আয় হতো তা দিয়ে চলত তার পরিবারের ভরণ-পোষণ ; সংসার।
আর যার কাছে কাপড়গুলো বড় বাজারে বিক্রি করতেন তার নাম সাইদুল ইসলাম তিনিও একই গ্রামের বাসিন্দা। ভিন্ন ধর্মের মতাদর্শী হলেও দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছোটবেলা থেকেই।
প্রায় আট বছর যাবত এভাবে তাদের সংসার জীবন চলছিল। ব্যবসা পরিচালনা করে সফল হয়েছিল তাদের ভাগ্যের চাকা। হঠাৎই করোনাভাইরাস আসায় দু’জনের ব্যবসার উপর খড়গ নেমে আসে। শুরু হয় সংসারের টানা পোড়েন। লকডাউনে জেলা উপজেলা এমনকি গ্রামগঞ্জ বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। দুর্দশা নেমে আসে তাদের পরিবারে।
দুই বন্ধু মিলে চিন্তা করলেন এভাবে বসে থাকলে তো জীবন চলবেনা। তাই কি করা যায়? ভেবেচিন্তে শেষ পর্যন্ত তারা ব্যবসা পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেন। করোনা মহামারী আর এই সময়টিতে তারা মাস্ক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। সামান্য পুজি নিয়ে ঢাকা থেকে থেকে স্বল্প মূল্যে মাস্ক কিনে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারে বিক্রয় করছেন। আর এ থেকে যা আয় হয় তাদিয়ে কোনমত চালাতে হচ্ছে সংসার।
অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা থেকে এভাবে হাতে মাস্ক বহন করে ভ্যান, রিক্সা, পায়ে হেঁটে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে মাক্স বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তারা জানান চলছে ভালই। এভাবে অনেক ছোট ব্যবসায়ী টিকে থাকতে, পরিবার টিকিয়ে রাখতে অনেকভাবে পেশা, ব্যবসা পাল্টে নিচ্ছেন।
Leave a Reply