জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গায় নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক বেড়েছে।
সোমবার রাত ১০টায় ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগে। এরমধ্যে ৮২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ জেলায় এটিই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্ত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় করোনা সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক। প্রায় আড়াই ঘন্টা চলে ভিডিও কনফারেন্স। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলার করোনার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। পরে করোনাভাইরাসের সংক্রমন বাড়ায় জীবননগর উপজেলায় আগামী বুধবার সকাল ৬টা থেকে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানসহ জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, সংক্রমন বাড়ায় জীবননগর উপজেলাকেও লকডাউনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তাতে জানানো হবে বিস্তারিত।
এর আগে গত ২০ জুন সকাল ৬ টা থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন করা হয়। তার আগে ১৫ জুন লকডাউন করা হয় জেলার সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলা। আর ১৮ জুন বিশেষ বিধি নিষেধ জারি করা হয় জীবননগর উপজেলায়।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, সোমবার রাতে ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এরমধ্যে ৮২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ৬৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। নতুন শনাক্ত ৮২ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৩৫ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ২০ জন ও জীবননগর উপজেলার ২০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩২ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৩১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪ জনে।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আরও জানা গেছে, জেলায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী ৬৩৮ জন। এরমধ্যে বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৮৪ জন। হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন ৫০ জন। বাইরে রেফার্ড করা হয়েছে ৪ জনকে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান জানান, সোমবার রাতে ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এরমধ্যে ৮২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এটিই জেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্ত।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি