জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নে লকডাউন শুরু হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ৬ টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউন চলবে আগামী ২৬ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত।
এসব এলাকায় লকডাউনের প্রথম দিনেই অনেকটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি গতকাল শনিবার বিকেলে জরুরি সভায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ওই দিন বিকেলেই লকডাউনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। বেশকিছু বিধি নিষেধ দিয়ে রাতে এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে, জরুরি পরিষেবা ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরঞ্জাম সংগ্রহ ও পরিবহন এবং সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা লকডাউনের বিধি নিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হয়। এছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করার কথা বলা হয়।
সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, জনসাধারণকে সচেতনতার পাশাপাশি লকডাউনকৃত এলাকায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। স্বাস্থবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লকডাউনকৃত এলাকা ঘুরে সবকিছুতেই গা ছাড়া ভাব দেখা যায়।জেলার প্রবেশমুখে বাঁশের প্রতিবন্ধকতা চোখে পড়ে। এসব প্রতিবন্ধকতার পাশে কোথাও কোথাও পুলিশ সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দেখা যায়। তারপরও প্রতিবন্ধকতা তুলে লোকজন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করতে থাকে। তবে শপিং মল ও দোকানপাঠ বন্ধ থাকতে দেখা যায়। সকাল থেকেই দূরপাল্লা, অভ্যন্তরীণ পথে বাসসহ সব ধরনের যানবাহন অবাধে চলাচল করতে দেখা যায়। অধিকাংশ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। এক প্রকার স্বাভাবিকভাবেই চলছে জীবনযাত্রা।
লকডাউনের মধ্যেও জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হয়েছেন রিক্সা চালক হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, ' লগডাউন হয়িচে আমি জানি। কিন্তু আমার সংসারে অনেক খরচ। কাজের জন্যি না বরুলি খাব কি? সরকার থেকি যে সাহায্যু দেয় তাতে কিচুই হয় না।
করোনার সংক্রমণ বাড়ায় এরআগে গত ১৫ জুন থেকে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করা হয় জেলার সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলা। ১৮ জুন থেকে ৭ দিনের বিশেষ বিধি নিষেধ জারি করা হয় জীবননগর উপজেলায়।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এতে ৬৮ জন করোনা শনাক্ত হন। আক্রান্তের হার ৫৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৫৯১ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮২ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় কেউ সুস্থ হননি। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৩৮ জন।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি