December 30, 2024, 11:54 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া ফিচার ডেস্ক/
পুরনো কোনো সভ্যতা কিংবা কাছাকাছি শতব্দীর বিভিন্ন জিনসপত্র নিলামে তোলার ব্যাপার নতুন নয়। পোশাক থেকে শুরু করে কাগজপত্র যে কোনো কিছুই নিলামে উঠতে পারে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের লেখা, চিঠি, বই, নোট, ছবি নিলাম করে বিক্রি হচ্ছে অনেককাল ধরেই। সমাজের সৌখিন মানুষেরাও তা বেশ চড়া দামে কিনে নিজের সংগ্রহে রাখেন।
আইনস্টাইনের হাতে লেখা চিঠি, নিউটনের সেরা বইয়ের ‘নোট’এর পর এবার চড়া দামে নিলামে উঠছে মোনালিসার রেপ্লিকা। ইতালির প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা চিত্রকর্ম মোনালিসা নিয়ে বিশ্বে বিতর্কের শেষ নেই। মোনালিসার হাসির ধাঁধা এখনো অধরা। সেইসঙ্গে মোনালিসা কে ছিল সেই রহস্যের জোট খুলতে পারেনি কেউই।
এবার প্যারিসে নিলামে উঠতে যাচ্ছে ইতালির প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা চিত্রকর্ম মোনালিসা। তবে আসল চিত্রকর্ম নয়, নিলামে উঠবে এর একটি রেপ্লিকা (প্রতিচিত্র)। শুধু এই রেপ্লিকারই নিলামে ৩ লাখ ইউরো দাম উঠতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির উদ্যোগে প্যারিসের একটি নিলাম হাউসে মোনালিসার প্রতিচিত্রটির নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ভিঞ্চির এক অনুসারী এই প্রতিচিত্রটি আঁকেন বলে ধারণা করা হয়। চিত্রকর্মটির প্রাক্তন স্বত্বাধিকারী রেমন্ড হেকিংয়ের নামানুসারে এটি ‘মোনালিসা হেকিং’ নামেই অধিক পরিচিত। ১৯৫০ এর দশকে ফ্রান্সের নিস শহরের একজন চিত্রকর্ম ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই রেপ্লিকাটি কিনেছিলেন হেকিং। এর আগে ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোনালিসার চিত্রকর্মটি প্রকৃত চিত্রকর্ম কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে গেছেন রেমন্ড হেকিং। ১৯৭৭ সালে তার মৃত্যু হয়। এক বিবৃতিতে ক্রিস্টি জানিয়েছে, এই চিত্রকর্ম ও এর ইতিহাস সেই মুগ্ধতা ও দ্যুতিকেই ধারণ করে যা মোনালিসা ও লিওনার্দো দা ভিঞ্চির কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়।
ওল্ড মাস্টার পেইন্টিংয়ের আন্তর্জাতিক পরিচালক পিয়েরে ইতিয়েনের এক বিবৃতির বরাতে ক্রিস্টি বলে, মোনালিসা হেকিং যে কোনো শিল্পীর জন্য একটি স্বপ্ন, একটি অনুরাগের নাম’। ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসাই সম্ভবত স্মরণকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্রকর্ম। ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামে এখনো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ চিত্রকর্মটি দেখতে ভিড় করেন।
তবে ১৯১১ সালে ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায় ‘মোনালিসা’। মিউজিয়ামেরই কর্মী ভিনসেনযো পেরুজিয়া চুরির উদ্দেশ্যে একে একটি আলমারিতে লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনা সে সময় আন্তর্জাতিকভাবে সারাবিশ্বে তীব্র উত্তেজনার জন্ম দেয়। ১৯১৩ সালে ফ্রান্সের ফ্লোরেন্সে এক এন্টিক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির সময় চিত্রকর্মটি ফের উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply