December 22, 2024, 1:49 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
খুলনা বিভাগে ১০ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় একদিনে সবোর্চ্চ ৫৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি এই ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এপর্যন্ত বিভাগে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ১০ জেলায় মোট মৃত্যুর পরিমাণ ১২ জন।
বুধবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় খুলনা জেলার তিনজন, বাগেরহাটের চারজন, কুষ্টিয়ার চারজন ও যশোরের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বুধবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৫১২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯২ জনে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ হাজার ৪১৯ জন।
বিভাগের জেলা ভিত্তিক করোনা পর্যালোচান করে দেখা যায়, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এপর্যন্ত খুলনায় শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯৭৯ জন। মারা গেছেন ১৯১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৪৮৪ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৩২১ জন, মারা গেছেন ১২২ জন ও সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৭৫২ জন।
যশোরে করোনায় শনাক্ত হয়েছে সাত হাজার ৬৯৯ জন, মারা গেছেন ৮৪ জন ও সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৬৬০ জন।
এছাড়া বাগেরহাটে করোনায় শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৯১৮ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৪৬২ জন। সাতক্ষীরায় শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ১০৯ জন ও মারা গেছেন ৪৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৫০০ জন। নড়াইলে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৯৫৬ জন, মারা গেছেন ২৭ জন ও সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৪৪ জন। মাগুরায় করোনায় শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২৯২ জন, মারা গেছেন ২৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২১৫ জন।
এদিকে ঝিনাইদহে শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ১০ জন, মারা গেছেন ৫৭ জন ও সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৮৩ জন।
চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ১১৭ জন, মারা গেছেন ৬৪ জন ও সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৪৩ জন। আর শনাক্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১০১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৮৭৬ জন।
বিভাগের বেশীর ভাগ জেলাতেই করোনা রোগীদের চাপ বাড়ছে। সরকারী হাসপাতালগুলোতে কোভিড ইউনিটে ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশী রোগী ভর্তি হয়ে গেছেন।
অপরদিকে বিভিন্ন জেলার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। এখানে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত খুলনার করোনা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫৭। কুষ্টিয়াতে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান সরকারের যতো উদ্যোগ রয়েছে সব দিয়েই আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply