December 22, 2024, 7:49 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়ায় ৫৪ করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে; মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আগের ২৪ ঘন্টায় এই সনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩১ ; মৃত্যুর সংখ্যাও ছিল ২ জন। কুষ্টিয়ায় পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা সংক্রমণের হার এখন ২৫%।
এদিকে যে কোন সময় পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন বিষেশজ্ঞগণ, বলছেন পুরিস্থিতি পাল্টালে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে উঠবে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন সূত্র জানাচ্ছেন, গত ২৪ ঘন্টায় ২২৮ টি নমুনা টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া মেডিকের কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৭৭টি এবং র্যাপিড কিটে ছিল ৫১টি। আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ২৭ জন। এরপরেই রয়েছে কুমারখালী ১৫ জন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় নমুনা টেস্টের সংখ্যা ছিল ১১৫।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেসজ্ঞগণ বলছেন জেলা সদর একেবারেই র্স্পশকাতর। এখানে বরাবরই আক্রান্তের হার বেশী। এটা জনসংখ্যার ঘণত্ব ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার আধিক্যের কারনে হলেও জেলার সবচে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হলো কুষ্টিয়া শহর ও আশেপাশের এলাকা।
অন্যদিকে, এই মুহুর্তে কুষ্টিয়ায় লকডাউন না দিয়ে করোনা বা করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে জনসচেতনতা নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় প্রতিরোধ কমিটির সভায় ১ জুন। সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সিভিল সার্জন কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ বলতে রাজি হননি। তার ভাষায় এটি একটু বাড়তির দিকে। এ রকম পরি¯ি’তি আগেও দুবার হয়েছিল। ঈদের কেনাকাটায় ভিড় পরবর্তী এটাকে এখনও স্বাভাবিক মনে করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেছেন।
২ জুন পর্যন্ত কুষ্টিয়া করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১১৬ জন। গত দুই দিনে মারা গেছেন ৪ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র বলছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের তত্বাবধানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মোট কোভিড বেড ৫০। এর মধ্যে আইসোলেশন বেড ৩০, অবজারভেশন বেড ২০টি।
আজ (জুন ৩) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে করোনা রোগী ভর্তি আছে ৪০ জন। পুরো জেলায় আইসোলেশ রোগীর পরিমাণ ২৭৪।
এখানে চার শয্যার লেভেল-১ মাত্রার আইসিইউ ইউনিট আছে। এখানে একটি লিকুইড অক্্িরজেন ট্যাংক রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছোট বড় ৩৪৭টি সিলিন্ডার রয়েছে। এতে সর্বনিম্ন ৬০০ লিটার থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার লিটার পর্যন্ত অক্সিজেনের জোগান দিতে পারে। করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ১০ থেকে ১২ জনকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। বেশি মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহের ১৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি) রয়েছে। তবে তিনটি নষ্ট।
কুষ্টিয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ হাজার ৬৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়া মেডিকের কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ এসএম মুস্তানজিদ বলছেন প্রতিমহিুর্তেই করোনা পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে। সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সম্মিলিত সামাজিক জোট কুষ্টিয়ার চেয়ারম্যান ড. আমানুর আমান বলেন সিদ্ধান্ত একটি নেয়া হয়েছে মানে সেটিতেই স্থির থাকতে হবে তা নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন পরিস্থিতির দিকে পূর্ণ ও সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
Leave a Reply