জাহিদুজ্জামান/
স্বাস্থ্য বিভাগের সুপারিশের পরও সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সিভিল সার্জন বলেছেন, সরকারিভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি তাকে। তবে জেলায় বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ও হার। ৩০ মে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৩৩ জন। দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর একদিনে এরচেয়ে বেশি সনাক্ত হয়নি। এদিন নমুনার বিপরীতে সনাক্তের হার ১৫ শতাংশেরও বেশি। নতুন আরো ১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১১১ এ। সিভিল সার্জন বলেছেন, আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে জেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটিতে আলোচনা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোকে লকডাউনের সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি সরকারিভাবে তাকে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৯টায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখান থেকে যে কোন সিদ্ধান্ত হতে পারে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামও বলেছেন একই কথা। তিনি বরেন কমিটি বসে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের তথ্যমতে গত এক সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে করোনা পজিটিভের সংখ্যা বেড়েছে ৪৩ জন। এই বুদ্ধির হার ৪৬%। গত ১৭ থেকে ২৩ মে ৭দিনে কুষ্টিয়ায় করোনা সনাক্ত হয় ৯৩ জন। আর গত ৭দিনে (২৪-৩০মে) সনাক্ত হয়েছে ১৪২ জন। চলতি সপ্তাহে নমুনার বিপরীতে সনাক্তের হার বেড়েছে। আগের সপ্তাহে যা ১০% থেকে ১২% ছিলো এ সপ্তাহে তা ১৫% থেকে ১৭% এ পৌছেছে। ৩০ মে যখন করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৩৩ জন তখন আরোগ্য লাভ করেছেন মাত্র ১৫ জন।
এভাবে আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৬ জনে। এর মধ্যে হাসপাতালে আছেন ৩২ জন। জেলায় আইসোলেশন বেড আছে মোট ১০০টি। এদিকে কুষ্টিয়ায় মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৪শ ৮৬জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৪৭ হাজার ৩শ ৬৩ জন। টিকার অভাবে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেন নি ২০ হাজার ১শ ২৩ জন মানুষ। কুষ্টিয়া সীমান্তবর্তী জেলা।
ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ ৪৭ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর অনেকটাই অরক্ষিত। বিজিবি কুষ্টিয়া সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল জিয়া সাদাত খান জানান, নানা কাজে এসব সীমান্ত পেরিয়ে যারা ওপারে গেছেন তারা ফেরার চেষ্টা করছেন। সীমান্ত এলাকার অনেকেই অবৈধভাবে গোপনে ভারতে যান। অবৈধভাবে যারা ভারতে গেছেন তাদের ফিরতেও হবে অবৈধভাবে। কর্নেল জিয়া সাদাত বলেন, সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি আছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের সচেতন করা হয়েছে। তারপরও চুরি করে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন অনেকে।
গত সপ্তাহে দৌলতপুরের রামকৃষ্ণপুর সীমান্ত থেকে এমন একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিজিবি। অন্যদিকে বৈধভাবে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে দেশে আসা ১৪৭ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন কুষ্টিয়া শহরে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এদের মধ্যেও তিনজন করোনা পজিটিভ। সবারই নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ধরণ জানার জন্য।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি