December 22, 2024, 9:28 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
খুলনা বিভাগের সাতক্ষিরা জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনার প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। আজ (রবিবার) খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন স্ব স্ব জেলা সিভিল সার্জনগণ জেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটিতে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করে পাশ করবেন। প্রতিটি জেলাতেই সরকার নির্ধারিত একটি করে করোনার প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন ‘খুলনা বিভাগের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত অন্য যে কোন বা রাজশাহী বিভাগের চেয়ে অনেক ভালে। তবে ভারতের অবস্থা বিবেচনায় সীমান্ত সংলগ্ন ৬াট জেলকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
সাতক্ষিরাতে করোনার সংত্রমণের হার ২২.২২। বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে গড় ১৩ থেকে ১৭% বলে তিনি জানান। সভায় কুষ্টিয়া খুলনা, যশোর ও সাতক্ষিরার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরুরী সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও খুলনা বিভাগের সিভিল সার্জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আরও ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন খুলনায় ২ জন, সাতক্ষীরার ১ জন, চুয়াডাঙ্গার ১জন এবং মেহেরপুরের ১ জন।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুর“ থেকে ২৯ মে সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩৩ জনে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ হাজার ২০৩ জন।
বিভাগীয় স্বা¯’্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা য়ায়, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১১৮ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭২ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ৯ হজার ১০৫ জন। এছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫১৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ জন এবং সু¯’ হয়েছেন এক হাজার ৪০৬ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৩১৫ জন। যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮৩০ জন, মারা গেছেন ৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৮ জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৬৮ জন, মারা গেছেন ২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হজার ৮১৫ জন। মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২৫৩ জন, মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ’ হয়েছেন এক হাজার ১৮৯ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৮ জন, মারা গেছেন ৫৫ জন এবং সুস্থ্ য়েছেন ২ হজার ৭২৬ জন। কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯০০ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১১০ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ৪ হাজার ২৩৫ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫৬ জন, মারা গেছেন ৬০ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন এক হাজার ৮১১ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৬ জন। মারা গেছেন ২২ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ৮৩৫ জন।
Leave a Reply