December 22, 2024, 10:03 am
দৈনিক কুষ্টিয়া ডেস্ক/
জাম গ্রীষ্মের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ফল। স্বাস্থ্যের পক্ষেও ফলটি খুব উপকারী। খেতে দারুণ সুস্বাদু। গরমে জামের ভর্তা খাওয়ার চাহিদাও থাকে বেশ। দামে সস্তা ও সহজলভ্য এই দেশি ফলটি ছোট এবং বড় উভয়ই খেতে পছন্দ করেন।
জামে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আছে। তাই জাম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে। এ ছাড়া রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য জাম খুবই উপকারী।
জামে ভিটামিন ‘এ’ আর ‘সি’ আছে। এ ছাড়া এতে থাকে বিভিন্ন মিনারেল, যা চোখ ও ত্বকের জন্য উপকারী।
পেট ঠাণ্ডা ও দ্রুত হজম করতে জাম সাহায্য করে। তাই যাঁদের অম্লের সমস্যা তারা বেশি করে জাম খেতে পারেন।
অ্যাসট্রিনজেন্ট প্রপার্টি থাকার ফলে জাম ত্বক তৈলাক্ত হতে দেয় না। এ ছাড়া ত্বকের অ্যাকনে আর কালো ছোপ দূর হয়।
জামে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে। এ ছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে।
উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ‘সি’ থাকে জামে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
জামের মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম হার্ট ভালো রাখে। একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ কমায়, ফলে হূদরোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
জামে আছে এনথোসিয়ানিস। এটি এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি হতে বাধা দেয়। এর ফলে ত্বকে সংক্রমণ ও দ্রুত বলিরেখা হয় না।
যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের জন্য জাম খুব ভালো। এতে থাকা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রপার্টি রক্তে চিনির মাত্রা কমায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেষ্টা পাওয়া বা বারবার মূত্রত্যাগ, যা ডায়াবেটিসের লক্ষণ এগুলোও নিয়ন্ত্রণে রাখে। শুধু ফল নয়, এই গাছের পাতা ও ফলের বিচিও ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উপকারী।
কালোজাম টিস্যুকে টান টান হতে সাহায্য করে। যা ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত হতে সাহায্য করে। জাম ব্রেইন অ্যালারট হিসেবে কাজ করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও জামে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফাইবার থাকে বলে হাইড্রেটেড থাকতে ও ত্বককে স্বাস্থ্যবান করতে সাহায্য করে। ডিটক্সিফায়ার হিসেবেও কাজ করে জাম।
Leave a Reply