জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
ইয়াস কেটে গেছে রাতেই। হালকা বাতাস ছিল সারারাতজুড়ে। চুয়াডাঙ্গায় ভোরের আলো ফোটার পর পরই বদলে গেল আবহাওয়া। বদলে গেল চুয়াডাঙ্গার আকাশ। চারদিক কালোকরে দমকা হাওয়া কিছুক্ষণ পর রূপ নেয় কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোয়। মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নান্দবার ও আইন্দিপুর গ্রাম। এর ঘর ভেঙেছে তো ওর ঘরের টিন উড়ে ঠেকেছে নারিকেল গাছের মাথায়। ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট কয়েক সেকেণ্ডের এই ঝড়ে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, গাছ পালা, পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাত্র কয়েক সেকেণ্ড স্থায়ী এই ঝড়ে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে পরিবারগুলো এসে দাঁড়িয়েছে খোলা আকাশের নিচে। খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে প্রশাসন।
ভুক্তভোগীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ে হানা দেয়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনেকেরই ঘরের চাল, টিনের বেড়া উড়ে যায়। গাছের ডালপালা ভেঙে যায়। অনেক গাছ উপড়ে যায়। অনেকের টিনের চাল উড়ে নিরুদ্দেশের ঘটনাও ঘটে।
আইন্দিপুর গ্রামের মাহাবুল ইসলাম জানান, সকালে হঠাৎ ৩০ সেকেন্ডের হু হু শব্দের ঘুর্ণিঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দিল। মাঠের পানের বরজগুলো সব ভেঙে গেছে। ঘুর্ণিঝড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে গ্রামের শতাধিক পরিবারের।
খবর পেয়ে বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার এনামুল হক ও চিৎলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বিপ্লব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য সহায়তা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল। সরকারিভাবে আরও সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া নান্দবার গ্রামের যুব সমাজের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য রান্না করা খাবার বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তাঁদেরকে পূনর্বাসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি