জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার বার্তা পেয়ে টিকাদান কেন্দ্রে এসে শুণ্য হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে মানুষদের। কারন টিকার ডোজ অবশিষ্ট নেই।
রোববার (২৩ মে) সকালে সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান বৃহস্পতিবার জেলায় টিকার মজুত শেষ হয়েছে। শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। তিনি বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন বলে জানান।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় টিকা নিতে আগ্রহী ৬৬ হাজার ৫৭৫ জন মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেন। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি প্রথম ধাপে ৫৮ হাজার টিকা চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছায়। ৭ ফেব্রæয়ারি থেকে প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়।
সিভিল সার্জন জানান প্রথম ধাপে জেলার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল ও বিজিবি হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্র থেকে মোট প্রথম ধাপে টিকা গ্রহন করে ৫৭ হাজার ৮৭১ জন।
গত ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপের জন্য ৩৯ হাজার টিকা জেলায় পৌঁছে। ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
সিভিল সার্জন জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের ৩১ হাজার ১০৪ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। ২৬ হাজার ৭৬৭ জন বাদ থাকতেই টিকার ডোজ শেষ হয়ে যায়।
সিভিল সার্জন একই সাথে জানান এর মধ্যে ৫০০০ টিকা কুষ্টিয়া জেলায় ও ৫০০ টিকা মেহেরপুর জেলাতে পাঠানো হয়েছে। এটা মন্ত্রনালয়ের একটি নির্দেশনার আলোকেই করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করবেন এমন অনেকেই মোবাইলে মেসেজ পাচ্ছেন। মেসেজে নির্দ্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রের নামও উল্লেখ করা দেয়া হচ্ছে। এসব মেসেজ পেয়ে টিকা গ্রহীতারা ভীঁড় করছেন বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে। কিন্তু টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সিভিল সার্জন জানান বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সহসায় এ সমস্যার সমাধান হবে না। কারন এ সমস্যা পুরো দেশ জুড়েই প্রায় চলছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন এই মুহূর্তে টিকা পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাচেছ না। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার টিকার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি