October 30, 2024, 8:02 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা/
গেদে-দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিক। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দর্শনা চেকপোস্টে পৌঁছান ওই ১১ জন বাংলাদেশী। এদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ রয়েছেন।
রোববার এদের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ছাড়পত্র (এনওসি) সংক্রান্ত জটিলতায় তারা দেশে ফিরতে পারেননি।
এদিকে, সন্ধ্যায় দর্শনা চেকপোস্টে পৌঁছালে তাদের হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. অমিত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি মেডিকেল টিম তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তবে তাদের কেউই করোনাভাইরাস শনাক্ত নন বলে জানান চিকিৎসক।
বর্ডার থেকে তাদের নির্ধারিত পরিবহনযোগে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) নেয়া হয়েছে। সেখানে তারা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলত কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে এমন প্রায় ৩ শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিকের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গত রোববার থেকে তাদের দেশে প্রবেশের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল আলিম ভারতের গেদে চেকপোস্টের ইনচার্জ সনজিদ কুমারের উদ্বৃতি দিয়ে জানান সোমবার বিকেলে ১১ জন বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী গেদে আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে পৌঁছান। দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকায় ইমিগ্রেশনের সকল প্রক্রিয়া শেষে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন জানান, ভারতের কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তাদের কাছে ৫১ জনের ছাড়পত্রের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জন দেশে ফিরেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত ফেরত একজন বাংলাদেশী নাগরিক জানান সকাল থেকে প্রায় ৪ শতাধিক বাংলাদেশী লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এদের মধ্যে বেলা ২ টা পর্যন্ত ১৪ জনের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে তিনি দেখতে পেয়েঝেন।
তিনি আরও জানান, কোলকাতায় কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনের কারণে দূতাবাসে যাতায়াতের জন্য কোনো যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। লকডাউনের মধ্যে ছাড়পত্র (এনওসি) সংগ্রহ করতে সবাইকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে
Leave a Reply