দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ায় দাফনের ২৬ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য এক গৃহবধুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
শিলা খাতুন (৩২) নামের ঐ নারী বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের আসাদ মুন্সী ওরফে উজ্জলের স্ত্রী।
পুলিশ জানায় শিলার ভাই আব্বাস আলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। কোন ময়না তদন্ত ছাড়ায় শিলার লাশ দাফন করা হয়েছিল। শিলা মারা যান ১৯ এপ্রিল।
কুমারখালী থানা উপপরিদর্শক (এস আই) পীযুষ কান্তি কর্মকার জানান ১৯ এপ্রিল শিলার মৃত্যুর পর তার স্বামীর পারিবারিক সূত্রে দাবি করা হয় শিলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। স্বজনদের কারো কোন আপত্তি না থাকায় ২০ এপ্রিল শিলার স্বামীর গ্রামের বাঁশগ্রাম বাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ঐ পুলিশ কর্মকর্তা জানান লাশ দাফনের ৬ দিন পর (২৫ এপ্রিল) আব্বাস মিয়া থানায় অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন শিলাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগে যৌতুকের দাবিতে শিলার স্বামী উজ্জল তার উপর নিয়মিত অত্যাচার করতো বলে উল্লেখ করা হয়। প্রমান হিসেবে আব্বাস তার সাথে উজ্জলের কয়েকটি মোবাইল কথোপকথন রের্কড জমা দেন।
অভিযোগটি কুষ্টিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের উত্থাপিত হলে কোর্ট এ বিষয়ে থানায় মামলা গ্রহনের নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।
৪ মে কুমারখালী তানায় একটি মামলা রুজু হয়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১৭ মে লাশ উত্তোলনের নিদের্শ দেন।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরে কুষ্টিয়া প্রমাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রে বনি আমীনের উপস্থিতিতে থানা পুলিশ কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী আব্বাস বলেন, ১৪ বছর আগে উজ্জলের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকা ও সেনাবাহিনীর চাকুরীর জন্য বোনকে ওরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। যৌতুকের টাকা না পেয়েই ওরা শিলাকে হত্যা করে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি