দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে পরপারে চলে গেলেন সবার পরিচিত মুখ অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সাইফুর রহমান। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। শেষের দিকে এসে করোনা নেগেটিভ ফলাফল এলেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস অকার্যকর হয়ে পড়ায় তাকে আর রক্ষা করা যায়নি।
তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার সাথে সার্বক্ষণিক অবস্থান করা তার একমাত্র কন্যা সুরাইয়া রহমান জানান করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সাইফুর রহমান। সেখানে দু’দিন অবস্থানের পর তাকে রাজশাহীতে আইসিইউ সার্পোটের জন্য প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অক্্িরজেন সমর্থনও কমে আসছিল। এক পর্যায়ে তার কারোনা পুণঃপরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভও আসে। কিন্তু করোনায় তার ফুসফুস চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
তিনি জানান চিকিৎসকরা তার ব্যাপারে আশাবাদীও ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ তার শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্থিরতা দেখা দেয়। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তিনি স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলেন।
সাইফুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শেলকুপার কাঁচেরকোল গ্রামে ১৯৬০ সালে জন্ম নেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি আগ্রণী ব্যাংকে সারাসরি অফিসার পদে চাকুরী দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম পদ থেকে অবসরজনিত ছুটি শেষ করেছিলেন। বসবাস করছিলেন কুষ্টিয়া শহরে তার নিজ বাড়িতে।
তার দুই সন্তান। তার পুত্র মোহাইমিনুর রহমান পলল বর্তমানে ভারতের চন্দ্রিগড় বিশ^বিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষনারত। কন্যা সুরাইয়া রহমান ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
মোহাইমিনুর রহমান পলল কুষ্টিয়ার সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রধান প্ল্াটফরম সম্মিলিত সামাজিক জোটের সমন্বয়কারী। তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও উৎসর্গ ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।
সাইফুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সম্মিলিত সামাজিক জোটের চেয়ারম্যান ড. আমানুর আমান ও জোটভুক্ত সামাজিক সংগঠগুলোর নেতৃবৃন্দ।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি