আসিফ যুবায়ের //
কয়েকদিনের মধ্যে আগাম জাতের লিচু পাকার কথা এরপর বাজারে আসবে বোম্বাই সহ বিভিন্ন প্রজাতির লিচু কিন্তু প্রচন্ড খড়া বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লিচু চাষীদের স্বপ্ন পূরণে। কালো দাগ আর ঝরে পড়া শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে এ বছরের মুকুল ভালো হলেও প্রচন্ড খড়ার কারণে বোটা ঝরে যায়। প্রত্যেকটা লিচুতে স্পট হচ্ছে, দিনে খরা রাতে ঠান্ডা হওয়ার কারণে লিচু ঝরে যাচ্ছে। এর ফলে অধিক লাভের আশায় কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা কেমিক্যাল দিয়ে বাজারজাত করছে। মৌসুমের আগেই কীভাবে এগুলো পাকালো জানতে চাইলে লিচু বিক্রেতা বাবলু জানান, তিনি সরাসরি গাছ থেকে এসব লিচু আনেন নি । তিনি মৌসুমী ফল বিক্রেতা। পরিচিত মহাজন জানানোর পর তিনি মেহেরপুরের,গাংনী, রুপপুর(পাবনা) থেকে এগুলো নিয়ে এসেছেন। কিন্তু সময়ের আগেই রাসায়নিক দিয়ে কাঁচা লিচু পাকানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই লিচু। এসব লিচু কিনে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজার সংলগ্ন ফুটপাতের দোকান ও ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব দোকানে অপরিপক্ক লিচু। জেলার বিভিন্ন স্থানের বাগান থেকে কাঁচা লিচু কিনে কেমিক্যাল ব্যবহার করে পাকিয়ে বিক্রি করছেন। দেখতে পাকা মনে হলেও কাঁচা। অধিক লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা এমন প্রতারণা করছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। কৃত্তিম উপায়ে রাসায়নিকভাবে পাকানো লিচুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ইচ্ছেমতো। ১০০-১৫০পিস লিচু কিনতে দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৬০-৩০০টাকা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘প্রাকৃতিকভাবে লিচু পাকতে আরও দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২০ মে’র দিকে বাজারে পরিপক্ক লিচু পাওয়া যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে বর্তমানে যেসব লিচু পাওয়া যাচ্ছে তা দেশি অপরিপক্ক লিচু। কেবল মুনাফার জন্যই চাষি ও বাগানমালিকরা অপরিপক্ব লিচু বাজারে তুলছেন
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি