আসিফ যুবায়ের/
বাংলার প্রকৃতিতে শিমুল মানেই বসন্ত। তেমনই গ্রীষ্মকালের বাহার কৃষ্ণচূড়া ফুল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কৃষ্ণচূড়ার মনকাড়া গাছ। সবুজ সবুজ চিকন পাতা। ফাঁকে ফাঁকে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।
কুষ্টিয়া পৌর শহরের প্রচন্ড খড় তাপেও চোখ জুড়ানোর মতো প্রশান্তি নিয়ে এসেছে অগ্নি রাঙা কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মকালীন একটি অতি পরিচিত ফুল। গ্রাম কিংবা শহর এখন প্রায় সব খানেই প্রকৃতি প্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণ চূড়ার অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে উঠেছে ভাবুক মন। বাংলা কাব্য, সাহিত্য ও সংগীতে নানা উপময় ব্যাঞ্জনায় বরাবর উঠে এসেছে কৃষ্ণ চূড়ার ফুলের রূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা। সৌন্দর্য বর্ধণকারী এ ফুলের বৃক্ষ টি এখন কুষ্টিয়া পৌর শহরসহ পাশ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের আনাচে কানাচে চোখে পরছে এই কৃষ্ণচুড়া ।
কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজ এর আশপাশে কৃষ্ণ চূড়া রঙ ছড়িয়ে রঙিন হয়ে পথিকের চোখ জুড়িয়েছে। কয়েকটি গাছে আসা রঙিন ফুল এর পাপড়ি রাস্তার মাঝখানে ঝরে পরার ফলে নির্মিত সড়কের চেহারা পরিবর্তন করে ফেলেছে। অপরূপ সৌন্দর্যের কৃষ্ণ চূড়া ফুলের রূপ ছড়ানো দৃশ্য পথচারীদের অনেক মুগ্ধ করেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে এ রাস্তায় হাঁটতে বের হত অসংখ্য মানুষ। কেউ কেউ ডিসি কোর্ট চত্বর এলাকাতেও দেখতে আসতো। বিশেষ করে কৃষ্ণচূড়া ফুটলে এ এলাকায় মানুষের ভিড় লেগেই থাকতো। কিন্তু মহামারিতে সব থমকে গেছে।
এই কৃষ্ণচূড়া গাছ একটি বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এ গাছ চমৎকার পত্রপল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য বিখ্যাত। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত একটি গাছ, যা ‘গুলমোহর’ নামেও পরিচিত। গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উজ্জ্বল লাল ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচুড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি