জাহিদুজ্জামান/
মে দিবসের ছুটির দিনেও টিকা নেয়ার সিডিউল ছিলো কয়েকশ মানুষের। যথারীতি টিকাকেন্দ্রে এসে ফিরে গিয়েছেন তারা। দূর দূরান্ত থেকে টিকা নিতে আসা ব্যাক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ত্রুটির জন্য তাদের অর্থ ও শ্রম দুটিই নষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন দু:খ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল শুক্রবারেও মেসেজ পাওয়া এবং নোটিসে নির্ধারিত দিন হওয়ায় টিকা নিতে আসেন কয়েকশ মানুষ। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হয় তাদের। সেসময় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কিন্তু কীভাবে মানুষের কাছে মেসেজ গেল সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এ ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন তিনি। যারা টিকা নিতে এসে ফিরে গেছেন তাদেরকে পরদিন শনিবার আসতে বলেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা টিকাদান কেন্দ্র কল কাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। নির্ধারিত দিন থাকায় ১ মে সকাল ১০টা থেকেও ভিড় বাড়তে থাকে। এসে টিকাদানকারীদের কাউকে না দেখে ফিরে যান। কথা হয়, ১৬ কিলোমিটার দূর সোনাইডাঙ্গা গ্রাম থেকে আসা আব্দুল খালেক বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, যানবাহন চলছে না। কতো কষ্ট করে আসলাম। টাকা খরচ হলো, সময় নষ্ট হলো। ৬৯ বছর বয়সী মো. ওয়াজেদ আলী এটাকে অব্যবস্থাপনা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মে মাসের ১ তারিখ যে ছুটির দিন হবে তা সবারই জানা। কিন্তু আমাদের টিকা পাওয়ার তারিখ হিসেবে এই দিন কীভাবে লিখলো? তাদের সামান্য ভূলের খেসারত দিচ্ছি আমরা অনেক মানুষ।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম আবারো ঘটনা সম্পর্কে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভুল করে সময় দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবারসহ সকল ছুটির দিনে টিকা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। আবারো দু:খ প্রকাশ করে তিনি টিকা গ্রহীতাদের আগামীকাল আসার অনুরোধ করেন।
এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তেৃপক্ষে কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমরা শুরু লোকবল দিয়েছি। সব কাজ জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের নিয়ন্ত্রণে হয়।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন বলেন, টিকার মজুদও শেষের দিকে। যা আছে তা দিয়ে আর দুই দিন রবি ও সোমবার চলবে। তিনি বলেন, নতুন করে বাংলাদেশে আর টিকা আসেনি। কিন্তু ঈদের এই ক’দিন চালানোর জন্য অন্য জেলা থেকে আরো ৭ হাজার টিকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন এই ৭হাজার টিকা হাতে পেলে ঈদের আগ পর্যন্ত চলে যাবে
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি