December 23, 2024, 12:15 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুমারখালীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ ও পুলিশের উপ সহকারি পরিদর্শক সহ তিনজন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের উপ সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) ফরিদ, শালঘরমধুয়া গ্রামের গুলিবিদ্ধ ফারুক (৩৮) ও রাশিদুল হক (৩৫)। আহতরা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় কলেজের প্রভাষক আালী হোসেন ও তোফাজ্জেল গ্রুপে সাথে জাফর ও লিটন গ্রুপের বিরোধ চলছে। পুর্ব বিরোধের জেরে গত ৪ এপ্রিল জাফরের সমর্থক আরিফকে তোফাজ্জেলের এলাকায় পেয়ে বেধরক মারপিট করা হয়।
এ ঘটনার জেরে গত ৬ এপ্রিল উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জাফর গ্রুপের মুকুল ও তোফাজ্জেল গ্রæপের ওয়াদুদ আহত হয়। সে সময় উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে তোফাজ্জেল গ্রুপের সমর্থকরা জাফর গ্রুপের ফারুক, রাশিদুলসহ অন্যান্যদের ঘরবাড়ি ভাংচুর শুরু করে। এ সময় প্রতিপক্ষরা তাদেরকে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফাঁকা গুলি ছুরে। এ সময় ফারুক গুলিবিদ্ধ হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে থানায় দুইটি মামলা রয়েছে।
বুধবার সকালে হঠাৎ দুইপক্ষ ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের সময় এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এটিএন বাংলার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি তুহিন আহমেদ। তিনি বলেন ক্যামেরা পারসন নাজমুল হাসিবকে থানায় নিয়ে এসে চোখ বেঁধে নির্যাতন করেছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন এ জাতীয় কোন ঘটনা ঘটেনি।
Leave a Reply