October 30, 2024, 10:12 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অপরাধে জড়িত যুবককে গ্রাম্য সালিশে চরথাপ্পর দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়ার খোকসার ওসমানপুর ইউনিয়নের দেবীনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী দেবীনগর গ্রামে তার নানা বাড়ি থাকে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ঘটনার সালিশ হয় গ্রামের অসংখ্য মানুষের সামনে। লোক লজ্জার ভয়ে ছাত্রীটি নিজের ঘর থেকে আর বের হচ্ছেনা।
শ্লীলতাহানীর চেষ্টার শিকার ওই ছাত্রীর মা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নিজের চিকিৎসায় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে একটু দুরে ছেলেকে জানাতে যায়। গৃহকর্তীর অনুপস্থিতি টের পেয়ে দেবীনগর গ্রামের জামালের ছেলে শহিদুল পান খাওয়ার কথা বলে ঘরে ঢোকে। এক পর্যায়ে ছাত্রীর হাত ও মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এ সময় সে চিৎকার করলে তার মামা এগিয়ে গিয়ে ভাগ্নিকে রক্ষা করে। এরপর থেকে গ্রামেই সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য ছাত্রীর পরিবারের উপর সমাজপতিরা চাপ দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ছাত্রীর নানা বাড়ির উঠানে সালিশ বসানো হয়। অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে শুনানীও হয়। এরপর শহিদুলকে চরথাপ্পর মারায় রায় ঘোষণা ও বাস্তবায়ন হয়।
অভিযুক্ত শহিদুলকেও এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী স্বীকার করেন ওই ছাত্রীর হাত চেপে ধরার সালিশ হয়েছে। তবে সালিশে শহিদুলকে চরথাপ্পর মারার বিষয় অস্বীকার করেন।
সালিশের পর ভূক্তভোগীর পরিবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা থানায় অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।
ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, শ্লীলতাহানীর ঘটনা জেনেছি। এলাকার সন্ত্রাসীরা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাপাচা দেওয়া চেষ্টা করছে। কোন পক্ষই আমার কাছে আসেনি।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর বিষয়টি তিনি শোনেন নি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেবেন।
Leave a Reply