দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়া দাম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর কুষ্টিয়ায় তরমুজের আড়তে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুই বিচারক চার তরমুজ ব্যবসায়ীকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বনি আমিন ও রিজু তামান্না ২৬ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন। ম্যাজিস্ট্রেট মো. বনি আমিন বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিলো ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি ফল আড়তের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী মন হিসেবেই কিনে আনেন। কিন্তু কেজিপ্রতি ২০ টাকাও লাভ করেছেন কেউ কেউ। এদের চারজনকে জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানা করা হয়েছে- ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামকে ২ হাজার টাকা, আবদুস সামাদকে ৩হাজার টাকা, জামান ট্রেডার্সের মো. রবিউল ইসলামকে ৩হাজার টাকা এবং মনিরুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা। তাৎক্ষণিক সব জরিমানা আদায় করা হয়।
কৃষি বিপনন আইন ২০১৮ এর ১৯ এর ১ এর ঙ ধারায় এসব জরিমানা করা হয়।
সবগুলো দোকানই কুষ্টিয়া পৌর বাজারের সামনের ফল আড়তে অবস্থিত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে পুলিশ সদস্য ছাড়াও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবেই কিনবে সেভাবে বেচতে হবে।
রমজানের এক সপ্তাহ আগেও তরমুজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেসময় তুলনামূলক বড় ও ভাল মানের তরমুজ ২৭ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রমজান শুরু আগেই দাম বেড়ে ৩৫/৪০ এ চলে যায়। এভাবে বাড়তে বাড়তে গত কয়েকদিন কেজি ৫০ তেকে ৫৫ তে দাঁড়ায়।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি