December 22, 2024, 6:39 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ায় ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী বাঘা যতীন ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার তিন আসামি যুবলীগ নেতা-কর্মীর জামিন না মঞ্জুর করেছেন জেলা জজ আদালত। আসামিরা হলেন, কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, দুই কর্মী সবুজ হোসেন এবং হৃদয় আহমেদ। এরা কয়া গ্রামের বাসিন্দা। দুপুর ১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের ভার্চুয়াল আদালতে তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন।
অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন দোলন জানান, মামলায় সরকার পক্ষে পিপি অনুপ কুমার নন্দী এবং আসামী পক্ষে সাইদুজ্জামান রানা শুনানিতে অংশ নেন। বিচারক দুই পক্ষে যুক্তি শুনে আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করেন। ভবিষ্যতে উচ্চ আদালতে জামিন চাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান আসামী পক্ষের আইনজীবী সাইদুজ্জামান রানা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার ওসি তদন্ত রাকিবুল ইসলাম বলেন, বাঘা যতীন ভাষ্কর্য ভাঙচুর মামলায় আরো একজন আসামী পলাতক রয়েছেন। তিনি কয়া গ্রামের মো. বাচ্চু শেখ।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাতে কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে স্থাপিত বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাষ্কর্ষ শক্ত বস্তু দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরদিন কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন। পুলিশ ১৮ ডিসেম্বর রাতে কয়া থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, সবুজ হোসেন এবং হৃদয় আহমেদকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর আনিসুর রহমানকে দল থেকে বহিস্কার করে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগ। ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ তিন আসামির জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ২০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া আদালতে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। আসামীপক্ষ জেলা দায়রা জজ আদালতে রিভিশন করলে বিচারক ম্যাজিস্ট্রের আদালতের দেয়া রিমান্ড বহাল রাখেন। পরবর্তীতে তারা হাইকোর্টে রিভিউ আবেদন করেন। সেই আবেদন দীর্ঘদিন পর ২২শে মার্চ হাইকোর্ট খারিজ করে নিম্ন আদালতের রিমান্ডের আদেশ বহাল রাখেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমারখালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার আসামি পক্ষে দেখভালকারী অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন দোলন জানান, গত ২৮ মার্চ আরেক দফা নিম্ন আদালতে জামিন প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপরই তারা জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন। তারই প্রেক্ষিতে আজ ১৮ এপ্রিল শুনানি হলো।
Leave a Reply