জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইস্রাফিল মোল্লা (৮০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানার সামনে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক ইস্রাফিল মোল্লা দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত জনাব আলী মোল্লার ছেলে। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। আটক শহিদুল ইসলাম দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি।
নিহত ইস্রাফিল মোল্লার চাচাতো ভাই নষ্কর আলী মোল্লা জানান, আমার চাচাতো ভাই ইস্রাফিলের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী শমসের আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব ও লিয়াকত আলীর সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে ইস্রাফিল থানায় একটি অভিযোগ করে। নজরুলরাও পাল্টা অভিযোগ করে। আজ দুপুরে বিষয়টি মিমাংসার জন্য দুই পক্ষকেই থানায় ডাকেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক। নজরুলদের পক্ষ নিয়ে আসেন দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আবু তালেব। কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে মিমাংসাটি ইস্রাফিলদের পক্ষে চলে যায়। পরে থানায় থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষ নজরুল, ওহাব ও লিয়াকত আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে ও আমার নাতি ছেলে আল আমিনকে মারধর করে। তাদের
তিনি আরও জানান, ঠেকাতে এলে দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম আমার চাচাতো ভাই ইস্রাফিলকে মারধর করেন। তাকে কিল ঘুষি মারেন। এতে ইস্রাফিল রাস্তার উপর পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। আমার ভাই রোজা রাখছিলেন। তার আর বাড়ি গিয়ে ইফতার করা হলো না। আমি অভিযুক্তের শাস্তি চাই।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তানভীর মোহাম্মদ আসিফ জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যান ইস্রাফিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতা ৯০ দশক থেকে থানায় দালালি করে আসছেন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি আরও জানান, ওই ঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ বা মামলা করেনি নিহতের পরিবার। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি