জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গায় সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় অসুস্থ পিতাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছেলেদের বিরুদ্ধে। ভেঙে দেয়া হয়েছে একটি হাত।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবীননগর গ্রামে রোববার রাতে ওই নিষ্ঠুর ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ইয়াকুব মালিতা (৬০) একই গ্রামের মৃত সাবেদার মালিতার ছেলে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত দুই ছেলে।
গ্রামের লোকজন জানান, কৃষক ইয়াকুব মালিতার চার স্ত্রী। বর্তমানে তিনি চতুর্থ স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। রোববার রাত ৮টার দিকে স্ট্যাম্প নিয়ে গিয়ে জমিজমা ও বসতবাড়িটি লিখে দিতে বলে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই ছেলে জাহিরুল ইসলাম ও সাদিমান হোসেন। এখনই সম্পত্তি দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাবা ছেলেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে দুই ছেলে ইয়াকুব মালিতাকে একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে দঁড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। তাকে ঘণ্টাব্যাপী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রের উল্টো পিঠ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে দুই ছেলে। তার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত ইয়াকুব মালিতার চতুর্থ স্ত্রী রুকিয়া খাতুন জানান, কয়েক মাস আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আমার স্বামীর ডান পা ভেঙে যায়। প্রায় ২ মাস চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রোববার বিকেলে বাড়ি ফেরেন তিনি। রাতে জমিজমা নিজেদের নামে নিখে দিতে চাপ দেয় প্রথম পক্ষের দুই ছেলে । সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে আমার স্বামীকে লাঠি ও হেঁসোর উল্টো পিঠ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে তারা। এসময় তার একটি হাত ভেঙে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রায়ই জমিজমা লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিয়েছে ওই দুই ছেলে। লিখে না দেয়ায় মারধরও করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ইয়াকুব মালিতা বলেন, তাদের ছেলে বলে পরিচয় দিতে ঘৃণা হচ্ছে আমার। আমি তাদের কষ্ট করে মানুষ করেছি। আজ সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় তারা আমাকে মারধর করেছে। আমি ওই দুই ছেলের নামে মামলা করবো।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ জানান, ইয়াকুব মালিতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের আঘাত রয়েছে। তার ডান হাত ভেঙে গেছে। তবে, তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি