দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষে-বিপক্ষে পোস্ট ও কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে দলটির দুটি দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ একে অপরের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়া সদও উপজেলার জিয়ারখি গ্রামে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির ঢাকা জানান সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালে জিয়ারখি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সভাপতি আহসান সরদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান আজিজুল হক ও আহসান সরদারের মধ্যে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। শনিবার আজিজুল হকের সমর্থক জিয়ারখি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। ওদিকে আহসান সরদারের বেশ কয়েকজন সমর্থক ওই স্ট্যাটাসে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করেন। তারা শরীফুল ইসলামকে ‘নরেন্দ্র মোদির সন্তান’ বলে কটূক্তি করেন।
এর জের ধরে সোমবার সকালে জিয়ারখি বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ৩০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে সাইদুল (৪০) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আরও চারজনের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
এ বিষয়ে সংঘর্ষে জড়ানো দুপক্ষ একে-অপরকে দোষারোপ করেন।
আজিজুল হক বলেন, আহসান সরদারের লোকজন হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে আমার লোকদের ওপর হামলা চালান। তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন না। জামাত থেকে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আর অপর পক্ষের নেতা আহসান সরদার বলেন, হেফাজতের সমর্থক আখ্যা দিয়ে আমাদের ওপর আজিজুল হকের সমর্থকরা হামলা চালান।
ওসি শওকত কবির বলেন, আধিপত্য বিস্তারই সংঘর্ষেও মুল কারন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি