December 22, 2024, 8:56 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া সদরের পর এবার মিরপুরে গরু চুরির ঘটনা বেড়েছে। চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন গরুর মালিকরা। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। এর মাসখানেক আগে কুষ্টিয়া সদরের বিভিন্ন এলাকায় একইভাবে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
৩০ মার্চ রাতেও মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে ৪টি গরু চুরি গেছে। মুসা প্রামাণিক নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের বাড়ী থেকে তিনটি গরু এবং একটি বাছুর চুরি যায়। মুসা প্রামাণিক জানান, রাত ১১টার দিকে ঘরে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে আজানের সময় উঠতে গিয়ে দেখি ঘরে বাইরে থেকে তালা দেয়া। বাড়ির অন্য ঘরগুলোও বাইরে থেকে আটকে রাখা হয়। পরে আমার ছেলে পাশের বাড়িতে ফোন করে ডেকে আনলে আমাদের ঘর খুলে দেয়। তখন উঠে দেখি গাভী-বাছুরসহ চারটি গরুই নেই। মুসা বলেন গোয়াল ঘরের দরজা ছিলো না। কদিন ধরেই লাগাবো বলে ভাবছিলাম। আমাদের তালা বাইরেই পড়ে ছিল। তা দিয়ে আমাদের আটকে রেখে চোর সর্বনাশ করে গেছে। পরে সকাল ১০টার দিকে মিরপুর থানায় জিডি করেছেন মুসা।
ওই গ্রামের মো. শামীম বলেন, কয়েকদিন আগে চরপাড়া গ্রামেও গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ব্যবসায়ী শাহীন আলী বলেন, গত সপ্তাহে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বলিদাপাড়া মাঠপাড়া থেকে লাল প্রামাণিকের বাড়ীর গোয়াল ঘর থেকে ৩টি গরু চুরি হয়। তার কিছুদিন আগে চা দোকানী মাসুদের তিনটি গরু চুরি হয়ে যায়। গরুর মালিকরা চুরির পর খোঁজাখুজি করে পুলিশের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন। কিন্তু নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মো্স্তফা বলেন, গরু চুরির বিষয়ে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
কুষ্টিয়া অঞ্চলে অন্যান্য কাজের পাশিপাশি প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কোরবানীর হাটে বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে গরু লালন পালন করা হয়। সংসারে একটু স্বচ্ছলতা কষ্ট করে জমানো সঞ্চয়, ধারদেনা কিংবা ঋণ নিয়ে গরু কেনেন তারা।
তবে চোরের দল এসব মূল্যবান গরু চুরি করায় কৃষকরা ভেঙ্গে পড়ছেন। হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
Leave a Reply