December 22, 2024, 8:28 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
যে পথে প্রেক্ষিত ২০২১ অর্জন হয়েছে সে পথেই অর্জন হবে রুপকল্প ২০৪১; ঠিক সে পথেই বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা। তারা বলেন বাঙালী এগিয়ে যেতে শিখেছে, এই জাতিকে এগোতেই হবে।
বাংলাদেশেন অনন্য অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষ্যে সরকার ঘোষিত দু’দিনের কর্মসূচীর শেষ দিনে ‘রুপকল্প ২০৪১ঃ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মৃণাল কান্তি দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম। সেমিনারে কি-নোট স্পিকার ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. আমানুর আমান। মুখ্য আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্দ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিশির কুমার রায়। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন কুষ্টিয়া জজ কোর্টের জেনারেল প্রোসিকিউটর আক্তারুজ্জামান মাসুম, সহকারী পুলিশ সুপার আজমল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ^াস, কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান।
বক্তারা বলেন ঔপনিবেশিক শাসনের যুপকাষ্ট থেকে,সকল শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম শেষে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে “বাংলাদেশ” নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এ ভু-খন্ডেরই হাজার বছরের সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ স্বাধীন করে বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। সামাজিক সমতা ও ন্যায়বিচার চিন্তাকে অগ্রভাগে ধারণ করে তিনি অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু নিজ হাতে করা মুক্ত ও স্বাধীন বাংলায় বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আন্তর্জাতিক চক্রান্তের সুযোগ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করে সেদিন ঘাতকরা শুধু একটি জাতির আশা-প্রত্যাশাকে ভেঙে স্তব্ধ করে দেয়নি, নস্যাৎ করে দেয় একটি উন্নয়ন স্বপ্নকেও। সময়ের অমোঘ নিয়মে আজ সেই মুক্তির, সেই স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে দেশ ; জাতির পিতারই রক্তের সুযোগ্য উত্তরাধিকার, তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত পরিকল্পনা, তাঁর দীর্ঘলালিত সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
বক্তারা বলেন ২০০৯’র বর্তমান সরকারেরই দিনবদলের সনদ সফল হয়েছিল। ২০২১’র মধ্যে দেশকে উচ্চ প্রবৃদ্ধির উন্নয়নের ধারায় ফিরিয়ে আনা, দারিদ্র্য মোকাবেলা, জনগণের জীবনমান উন্নয়নসহ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে আসীন করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার হতে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনীয় সকল মানদন্ড পূরণ করতে পেরেছে, ২০১৫ সালের এমডিজি’র অধিকাংশ লক্ষ্য বিশেষত দারিদ্র্য নিরসন, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা, শিশু ও মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এর অসামান্য অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী অভিনন্দিত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ছাড়িয়ে গেছে ২ হাজার ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ০২৮ বিলিয়ন ডলার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে একটি শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে চলে আসবে।
বক্তারা বলেন সুতরাং প্রেক্ষিত ২১৪১ও এদেশে বাস্তবায়িত হবে। এজন্য তারা সবাইকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। তারা প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেন। সরকারের পলিসি বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবল কাঠামো গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
বক্তারা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ এর আওতায় যে অসামান্য অগ্রগতি হয়েছে, তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের সাক্ষ্যবাহী। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এর আওতায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নলালিত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে উচ্চআয় দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যাবার জন্য দেশ আজ পুরোপুরি প্রস্তুত।
Leave a Reply