December 22, 2024, 9:25 am
জাহিদুজ্জামান/
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বহুল আলোচিত বিপ্লবী বাঘা যতীন এর ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার তিন আসামিকে অবশেষে রিমান্ডে নিতে পেরেছে পুলিশ। উচ্চ আদালত তাদের আইনজীবীর করা রিভিও আবেদন খারিজ করে দিলে ২২মার্চ তাদের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বিকাল ৩টার দিকে তাদেরকে কুমারখালী থানায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান ওসি মজিবর রহমান ।
আসামিরা হলেন, কুমারখালীর কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস (৩৫), স্থানীয় সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০) । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর রাকিব হাসান জানান, বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার সাথে সম্পৃক্ত তিনজনকে গত ১৯ ডিসেম্বর আটকের পর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। ২০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া আদালতে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। আসামীপক্ষ জেলা দায়রা জজ আদালতে রিভিশন করলে ম্যাজিস্ট্রের আদালতের দেয়া রিমান্ড বহাল রাখেন। পরবর্তীতে তারা হাইকোর্টে রিভিউ আবেদন করেন।
ওসি মজিবর রহমান বলেন, ২২ মার্চ দুপুরে হাইকোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতের রিমান্ডের আদেশ বহাল রেখেছেন। এরই প্রেক্ষিতে বিকালে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমারখালী থানায় আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে অবস্থিত কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী থানার পুলিশ যৌথভাবে ১৯ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনায় জড়িত অপর দুই জন হৃদয় আহমেদ ও সবুজ হোসেনকে সকাল ৬ টার দিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামীদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুনের নিকট হাজির করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর রাকিব হাসান আদালতের নিকট ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
স্থানীয় কয়া কলেজ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে নিজ রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফাঁসাতে তারা বাঘা যতীনের ভাষ্কর্য ভাঙচুর করে বলে পুলিশকে জানায়।
Leave a Reply