December 22, 2024, 7:12 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, ইবি/
অনলাইনে (ইজিপি) দরপত্র কেনাবেচার তথ্য ফাঁস হবার অভিযোগ উঠার পরও খোলা হয়েছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ছাত্রী হল নির্মাণের ১০৮ কোটির কাজের দরপত্র। সোমবার দুপুরে নির্ধাারিত সময়েই খোলা হয় ই-টেন্ডার অ্যাপস।
বিশ^বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলছেন তারা সকল নিয়ম মেনেই প্রক্রিয়া শেষ করেছেন।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ও বিশ^বিদ্যালয়ের চলমান ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের পরিচালক এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান বিশ^বিদ্যালয় কতৃক গঠিত একটি একটি টেন্ডার ওপেন কমিটি (টিওসি) রয়েছে এই কমিটিই টেন্ডার খুলে থাকেন। এই কমিটির সভাপতি এইচ এম আলী হাসান নিজেই এবং সদস্য-সচিব হলেন প্রকৌশল দফতরের নিবার্হী প্রকৌশলী নাসিম রেজা।
তিনি জানান ১০৮ কোটি টাকার দুটি ছাত্রী হল নিমার্ণের কাজ পেয়েছেন এমএস-এমআরটি (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সাইদ মোঃ তারেক জানান এ প্রতিষ্ঠানটি সর্ব নিম্ন দরদাতা হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী তারাই কাজটি পাবে। তিনি জানান মোট ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ নেয়। এর মধ্যে একটি হলের জন্য ৪টি অন্যটির জন্য ৬টি দরপত্র জমা পড়ে। এদের মধ্যে এমএস-এমআরটি’র (জেভি) দেয়া সর্বনি¤œ ৭.৯৯% দরে কাজটি তারাই পেয়েছেন।
দরপত্র ক্রয় করে কাজ পাননি এমন বেশ কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করে বলছেন যে কয়টি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয় তাদের নাম আগেই ফাঁস হযে যায় যেটা একটি মোবাইল থেকে বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ও প্রধান প্রকৌশলীকে সেল ফোন মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সাইদ মোঃ তারেক বলেন এ ধরনের নাম ফাঁস হয়ে যাওয়ায় টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোন ক্ষতি হয়নি। কারন কে কত পারসেন্টজ দর দিয়ে দরপত্র জমা দিয়েছে তা তো আর ফাঁস হয়নি।
বিশাববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম জানান কোন ঠিকাদার তাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ তোলেননি। তিনি বলেন কারো কোন অভিযোগ থাকলে সেটি লিখিত আকারেই আসতে হবে এবং এটি বিশাবদ্যালয়ের কাছেও জমা দিলে হবে না দিতে হবে উ”চ পর্যায়ে। কারন ই-টেন্ডারের কোন প্রক্রিয়ায় তাদের হাতে নেই। এটা নিয়ন্ত্রন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অধীনে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট ইউনিট (সিপিটিইউ)।
গত ৩/৪দিন ধরে একটি অজ্ঞাত মহল থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ছাত্রী হল নির্মাণের ১০৮ কোটি টাকা কাজের ই-দরপত্রে অংশগ্রহনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ফাঁস করে দেয়া হয়। এতে ১০টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে কাজে অংশগ্রহনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়।
বিষয়টি অবগত হবার পর শনিবার বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজেই শিক্ষামন্ত্রী, সিপিটিইউসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে জরুরিভাবে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম জানান পুরো ইজিপির সবকিছু আইএমইডির (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) নিয়ন্ত্রণে। তিনি জানান এ ব্যাপারে তিনি সেখানে কয়েকদফা কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে সিপিটিইউর মহাপরিচালক সোহেলুর রহমান চৌধুরীর তাকে আশ্বস্ত করেন সিপিটিইউ থেকে ইজিপির তথ্য ফাঁস হওয়া অসম্ভব ব্যাপার।
উপচার্য জানান পুরো কাজটি নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৈরি হতে পারে যারা নিজেদের মধ্যে এসব জানাজানি করে নিয়ে তথ্য ফাঁস করে থাকতে পারে।
Leave a Reply