দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
স্বাস্থ্যবিধি না মানা, জনসচেতনতা না থাকা, সরকারিভাবে প্রচার-প্রচারণা না করা এবং এলাকার মানুষের মাস্ক পরিধান করার অনীহায় কুষ্টিয়ার করোনার টার্নিং পয়েন্ট এখন খোকসা উপজেলায় পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এ উপজেলায় ১৪ জন করোনায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেই সাথে দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। শুধু তাই নয় মুমূর্ষ অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দু’জন যাদের বাড়ি খোকসাতে।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের করোনা ইউনিট অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৬৯ জন করোনা রুগী আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একজন নারী সহ ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে উপজেলায় ৮ জন হোম আইসোলেশন চিকিৎসাধীন আছে,এবং দুইজন মুমূর্ষ অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে করোনায় ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। উপজেলায় মোট আইসোলেশনে রয়েছেন ১০ জন করোনা সনাক্ত রুগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান সোহেল স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগী বেশ কিছুদিন খোকসাতে ছিল না। হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে একজন করোনা রুগী শনাক্ত হয়। ঐ ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে ঐ পরিবার সহ পার্শ্ববর্তী পরিবারের সংক্রমিত হয়। শুধুমাত্র করোনা রুগী শনাক্ত করে সমাধান করা সম্ভব নয়। দরকার জনসচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, এ ছাড়াও সকলকে সচেতনতা বিদ্ধিকরে চলা। আর সকলে নিয়ম কানুন মেনে চললে করোনার টার্নিং পয়েন্ট খোকসায় আর থাকবে না।
এদিকে জেলার এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কুষ্টিয়াবাসী স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চললে এবং মাস্ক পরিধান না করলে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply