October 30, 2024, 8:04 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
গোপনে স্কুলের পরিত্যাক্ত ভবন বিক্রয় করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এনে কুষ্টিয়ায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, এক সহকারী শিক্ষক ও দুই ক্রেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ওই অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন কুমারখালী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও দুই ক্রেতা শানপুকুড়িয়ার ইয়াছিন আলী বিশ্বাস ও বাচ্চু শেখ।
লিখিত অভিযোগে শহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ে থাকা চার চালা বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, যাতে ইটের পরিমাণ ৪ হাজার ৫০০, যার আনুমানিক মূল্য ৩৬ হাজার টাকা, ১১ বান টিন, যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা, ৩০টি সিমেন্টের খুঁটি, যার মূল্য ১২ হাজার টাকা এবং ঘরের ব্যবহৃত কাঠের মূল্য ৩০ হাজার টাকা, কাঠ ও বাঁশের মূল্য ৩২ হাজার টাকাসহ সর্বমোট আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত না করে বা”চু শেখের কাছে গোপনে বিক্রি করেন।
বা”চু শেখ ৬ মার্চ রাতে বিদ্যালয়ের ভবনটি ভাঙচুর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তাঁরা বা”চু শেখের বাড়িতে গিয়ে ভবনের মালামাল দেখতে পান। এ সময় বা”চু শেখ তাঁদের বলেন, হার“ন অর রশিদের কাছ থেকে এসব কেনা হয়েছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন অন্যান্য আসামির সহযোগিতায় ঘরটি বিক্রি করেছেন। বিক্রির টাকা হার“ন বিকাশের মাধ্যমে সেলিনা খাতুনের কাছে পাঠান। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি দুদক মামলার সিডিউলভুক্ত হওয়ায় থানায় জিডি প্রস্তুত করে কুষ্টিয়া জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনারের উপপরিচালক বরাবর ব্যব¯’া গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
Leave a Reply