দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, কুমারখালী/
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্রাদি চেক করার সময় সুজন আলী (২৫) নামের এক ভূয়া পুলিশকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। সোমবার বিকেলে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজার এলাকা এঘটনা ঘটে।পরে মোটরসাইকেল চালক রাশেদ বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা নম্বর ১।
ভূয়া পুলিশ সুজন আলী রাজাবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার নাতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।সে পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত বাইকার এবং মামলার বাদী রাশেদ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার দাঁতপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক রাশেদ নিজবাড়ি ফরিদপুর এলাকা থেকে মাগুরার নাঙ্গলবাঁধ টু কুষ্টিয়া সড়কের জিকে ক্যানাল দিয়ে কুষ্টিয়ার জগতি বোনের বাড়ি যাওয়ার পথে সোমবার বিকেলে কুমারখালীর সান্দিয়ারা বাজার এলাকায় পৌছালে সুজন আলী নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্রাদি চেক করতে থাকে।এসময় সুজনের আচরণে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সুজনকে যাচাই বাছাই করে ভূয়া পুলিশ প্রমাণিত করে এবং মোটরসাইকেল চালক রাশেদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্রাদি চেক করার সময় সুজন নামের এক ভূয়া পুলিশকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা।পরে আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে আদালতে সোপার্দ করা হয়।
Leave a Reply