দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার মসজিদ গলি এলাকায় জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স নামের একটি গোডাউনে আগুনে পুড়ে গেছে সব মালামাল। বিকেল ৪টার দিকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেজে যায় ৮টা। ফায়ার সার্ভিস বলছে, সরু গলি এবং গোডাউনের ভেতরের কেবিন করে মালামাল সাজানো থাকায় পানি ঠিকমতো পৌঁছানো যায়নি। এ কারনে দীর্ঘক্ষণ ধোয়া বের হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৪টার দিকে তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় জাহাঙ্গীর হোসেনের ইলেকট্রিক চার্জার, গ্যাস লাইটার, খেলনা এবং কসমেটিক্স এর গোডাউনে আগুন লাগে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কেউ বলছেন, গ্যাস লাইটার থেকে আগুন ধরে যায়। অন্যরা বলেছেন, আগুন লাগে সর্ট সার্কিট থেকে। কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি এবং কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সাগর হোসেন জানান, জাহাঙ্গীরের এই গোডাউনে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি, বডিস্প্রে, গ্যাস লাইটার, ইলেকট্রিক চার্জার লাইট, এবং প্লাস্টিকের খেলনা সাজানো ছিলে। বেশি মালামাল যাতে সাজানো যায় সেজন্য স্টিলের কেবিন করা ছিলো। এ কারণে বাইরে থেকে পানি পুশ করলেও শেষ পর্যন্ত পৌছাচ্ছিল না। কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, শেষ পর্যন্ত হ্যামার নিয়ে এসে দেয়াল ভেঙ্গে পানি দিতে হয়েছে। আগুনে এবং ধোয়ার চাপে এসব দেয়াল ফেটে যায়। তিনি বলেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ব্যবাসায়ীদের মালামালে গলি সরু হয়ে যাওয়া, ঘিঞ্জি এলাকা এবং উৎসুক জনতার চাপের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার ফাইটারদের।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুরোপুরি ধোয়া বন্ধ না হলেও আগুন এখন ফায়ার কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে।
ঘটনাস্থলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শওকত কবির বলেন, কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে রাত ৮টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি