প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ৪:৫৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২১, ৯:৩২ পি.এম
ভোগান্তির অপর নাম কুমারখালী-গোপগ্রাম সড়ক
হুমায়ুন কবির/
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাটিকামারা টু গোপগ্রাম সড়ক ভোগান্তির অপর নাম। উল্লেখিত সড়কে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। এরই মাঝে গড়েরমাঠ ব্রিজের নির্মাণ কাজ ঢিমেতালে হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়,কুমারখালী টু গোপগ্রাম সড়কের সংযোগ সেতু গড়ের মাঠ ব্রিজের টেন্ডার আহ্বান করলে নড়াইলের একজন ঠিকাদারের লাইসেন্স দিয়ে টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেন কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের কিছু অদক্ষ ঠিকাদার। ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত পিছি গার্ডার ব্রিজের কাজ পাবার পর তাদের প্রয়োজনীয় আর্থিক ও মানুষিক প্রস্তুতি না থাকায় ক্রমেই নির্মাণ কাজ পিছিয়ে পরছে। ব্রিজের নির্মাণ কাজের পাশ দিয়ে সাইড রোড করা হলেও হাঁটু সমান ধুলায় ছোট ও বড় যানবাহন চলাচলের সময় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্রিজটি প্রায় তিনমাস ভাঙা হলেও এখনো পর্যন্ত সিটুপাইল ঢালাই হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডির একজন জানান লাইসেন্স বিহীন এই ঠিকাদার গ্রুপ বাঁশগ্রামের একটি ছোট ব্রিজের কাজ দুই বছর ধরে করেছে। গড়ের মাঠ ব্রিজের এতোবড় কাজ এদের দ্বারা কোনভাবেই সমাপ্ত করা সম্ভব হবেনা।
অপরদিকে কুমারখালী বাটিকামারা টু গোপগ্রাম ৫ হাজার মিটার সড়কে অজস্র খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম জানান, বাটিকামারা থেকে তারাপুর ২২০০ মিটার এবং তারাপুর থেকে গোপগ্রাম ২৮০০ মিটার সড়কের টেন্ডার হয়েছে। এবং তারাপুর থেকে গোপগ্রাম সড়কের ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে। প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার কাজ পেয়েছে সৈকত এন্টারপ্রাইজ। আগামী জুন মাসের মধ্যে সড়কের কাজ সমাপ্ত হবে। তবে ব্রিজ কবে নাগাদ কমপ্লিট হবে নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি