December 22, 2024, 12:25 pm
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার দুটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থীরাই বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই ফলাফল ঘোষনা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। জীবননগর উপজেলা পরিষদের নিজ কার্যালয়ে পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন। এতে জীবননগর পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন নৌকার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শাহাজাহান কবীর পেয়েছেন ৭৬৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত প্রার্থী খোকন মিয়া হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৩ ভোট।
নির্বাচিত আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এরআগে একটানা তিনবার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। গতবার দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
জীবননগরে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হয়। এ পৌরসভায় ১০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৮২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১৩৩ জন এবং মহিলা ১০ হাজার ৬৯৩ জন। মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী ছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ। আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী হাসান কাদির গনু। এ পৌরসভার ১৫ টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম সবেদ আলী মোবাইল প্রতীকে নিয়ে পেয়েছেন ৬১২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মীর মহি উদ্দিন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৮ ভোট।
আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু এ নিয়ে টানা তিনবার মেয়র নির্বাচিত হলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
আলামডাঙ্গা পৌরসভায় ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহন করা হয়। আলমডাঙ্গা পৌরসভার ১৫ টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ১৩৯ জন। এর মধ্যে মহিলা ১৩ হাজার ৫৫৮ জন ও পুরুষ ১২ হাজার ৫৮১ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী ছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
Leave a Reply