December 23, 2024, 1:30 am
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে ।
শনিবার বিকেল ৩টা থেকে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও জীবননগর উপজেলা চত্বরে স্ব স্ব কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে এসব নির্বাচনী সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাহারায় এসব নির্বাচন সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যান তারা। আগামীকাল রোববার জীবননগর পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ও আলমডাঙ্গা পৌরসভায় ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহন করা হবে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।
জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি মনোনিত প্রার্থী শাহাজাহান কবীর (ধানের শীষ) এবং ইসলামী আন্দোলন মনোনিত প্রার্থী খোকন মিয়া (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। জীবননগরে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হবে। জীবননগর পৌরসভায় ১০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৮২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১৩৩ জন এবং মহিলা ১০ হাজার ৬৯৩ জন। পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৫৬০ জন বেশি।
জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন জানান, অবাধ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনের মাঠে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যের একাধিক টিম কাজ করবে।
এদিকে, আলামডাঙ্গা পৌরসভায় ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহন করা হবে। আলমডাঙ্গা পৌরসভার ১৫ টি ভোট কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ১৩৯ জন। এর মধ্যে মহিলা ১৩ হাজার ৫৫৮ জন ও পুরুষ ১২ হাজার ৫৮১ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনবারের নির্বাচিত মেয়র হাসান কাদির গনু নৌকা প্রতীক, বিএনপির মনোনীত সাবেক মেয়র জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য মীর মহিউদ্দিন ধানের শীষ প্রতীক এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি এম সবেদ আলী মোবাইল প্রতীকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ জানান, আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তবে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২ প্লাটুন বিজিবি, বিজিবির একটি এপিসি টিম, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যের একাধিক টিম কাজ করবে।
Leave a Reply